প্রতিবেদন : অতিমারি কাটিয়ে ফের ঝলমলে মোহনবাগান দিবস (Mohun Bagan Day)। নতুন করে তৈরি হওয়া ক্লাব মাঠে হুগো বোউমাস, প্রীতম কোটালদের অনুশীলন দিয়ে দিন শুরু হয়। দুপুরে প্রাক্তনদের প্রীতি ম্যাচের পর ব্যতিক্রমী মোহন সন্ধ্যায় বরণ করে নেওয়া হল এবারের মোহনবাগান রত্ন শ্যাম থাপাকে। রত্ন প্রাপ্তির দিনেও বল পায়ে মাঠে নেমে পড়েন একদা বাইসাইকেল কিকের নায়ক। প্রাক্তনদের প্রীতি ম্যাচে কিছুক্ষণের জন্য শ্যামের স্কিলের ঝলক দেখা যায়। গ্যালারিতে তখন নস্ট্যালজিয়া।
সন্ধ্যায় মঞ্চ আলো করে চাঁদের হাট। সেখানে মোহনবাগান সভাপতি টুটু বোস এবং সচিব দেবাশিস দত্তর হাত থেকে রত্ন সম্মান নেওয়ার সময় আপ্লুত শ্যাম। সাত বছর সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে খেলা শ্যাম বললেন, ‘‘জীবনের সেরা সম্মান। আমি ক্লাবকে সাফল্য এনে দিয়েছি। ক্লাব আমাকে এবার তা ফিরিয়ে দিল। তবে আমি শ্যাম থাপা হতে পারতাম না প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, অমল দত্ত, অরুণ ঘোষরা না থাকলে।’’ একই মঞ্চে জীবনকৃতি সম্মান পেলেন প্রাক্তন গোলরক্ষক বলাই দে। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। বললেন, ‘‘এই সম্মান তিনি উৎসর্গ করছেন অতিমারির সময় প্রয়াত সমস্ত প্রাক্তন ফুটবলারদের।’’
এই প্রথম ১৯১১-র শিল্ডজয়ী অমর একাদশের উত্তরসূরিদের মঞ্চে বরণ করে নেওয়া হল। আগেও মোহনবাগান দিবসে এসেছেন শিবদাস, বিজয়দাস ভাদুড়ীদের পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু মঞ্চে তুলে বরণ এই প্রথমবার। অভিলাষ পালের নাতি সুমিত গুহ বললেন, ‘‘এই সম্মান আমরা আগে কখনও পাইনি। ক্লাবকে অনেক ধন্যবাদ। ছোটবেলায় দাদুকে হারিয়েছি। বড় হয়ে বুঝতে পেরেছি, তাঁরা কী কৃতিত্বই না দেখিয়েছেন মোহনবাগানের জার্সিতে খেলে।’’ প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর সঙ্গে মোহনবাগানের অন্যতম ভাইস প্রেসিডেন্ট অরূপ রায়, মোহনবাগানপ্রেমী ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, বিধায়ক তাপস রায়, দেবাশিস কুমার, সুজিত বসু, সাংসদ শান্তনু সেনরা ছিলেন। তাঁরাই সম্মানিত করলেন বর্ষসেরাদের।
সেরা ফুটবলারের পুরস্কার পেলেন লিস্টন কোলাসো। প্রয়াত সুভাষ ভৌমিকের নামাঙ্কিত সেরা স্ট্রাইকারের সম্মান পেলেন মোহনবাগানের তরুণ ফুটবলার কিয়ান নাসিরি। অভিভূত জামশিদ-পুত্র। বললেন, ‘‘এই সম্মান তাঁকে আরও ভাল খেলার প্রেরণা জোগাবে।’’ বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মান পেলেন প্রিনান দত্ত। বর্ষসেরা অ্যাথলিটের সম্মান পেলেন বাপি শেখ। এছাড়াও সম্মানিত হলেন আরও অনেকে। তিনি সচিব হয়ে আসার পর প্রথম মোহনবাগান দিবস (Mohun Bagan Day)। দেবাশিস দত্ত বললেন, ‘‘অঞ্জন মিত্রের সঙ্গে আমরাই মোহনবাগান দিবসকে নতুন মাত্রা দিয়েছিলাম। তবে আমি কোনও কৃতিত্ব নেব না। আমাদের কমিটির সবাই দুর্দান্ত কাজ করছে। পুরো টিমের কৃতিত্ব।’’