ভারত-বাংলাদেশ প্রোটোকল রুটে ভেসেল যায় । কিন্তু নয়া প্রোটোকল রুটে ভেসেল গেলে সময় ও পণ্য পরিবহণের খরচ অনেকটাই কমবে বলে জানিয়েছে বন্দর আধিকারিকরা । গত মার্চেই ভারত ও বাংলাদেশ সম্মত হয়েছিল, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির সঙ্গে জলপথে যোগাযোগের ক্ষেত্র বাড়াতে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম এবং মংলা বন্দরকে ব্যবহার করা হবে । তারপর থেকেই চারটি সম্ভাব্য রুট বাছাই করা হয় ।
আরও পড়ুন-সিগারেটের প্যাকেটে এবার আসছে বদল নয়া নির্দেশিকা
পরিকল্পনা মাফিক এক বেসরকারি সংস্থার সাহায্যে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ শনিবার মংলা-তামবিল এবং মংলা-বিবির বাজার পথে একটি ভেসেল পাঠাবে। এই ভেসেলে দুটি কন্টেনার পাঠানো হবে । একটি কন্টেনার তামবিল-ডাওকি সীমান্ত দিয়ে মেঘালয় যাবে ।
অন্যটি বিবির বাজার-শ্রীমন্তপুর সীমানা দিয়ে অসম যাবে। সফল হলে, কলকাতা-হলদিয়া থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য গুলিতে পণ্য পরিবহণের খরচ অনেক কমে যাবে। কলকাতা বন্দর সূত্রে খবর জলপথে ভাগীরথীর সঙ্গে ব্রহ্মপুত্রর জুড়ে থাকার সম্পর্ক দীর্ঘ দিন ধরে । ব্রিটিশরা জাহাজে করে অসম থেকে চা নিয়ে আসত কলকাতায় । এর ফলে কলকাতায় তৈরি করা হয়েছিল একাধিক টি-শেড। অন্যদিকে কলকাতা থেকেও জলপথে কয়লা, সিমেন্ট নিয়ে যাওয়া হত।এই জলপথ ধরে শস্য, ভোজ্য তেল একাধিক জিনিস আমদানি-রফতানি করা হত। যদিও বাংলাদেশ যুদ্ধের কারণে বন্ধ হয়ে যায় পণ্য পরিবহণ।
আরও পড়ুন-অভিষেকের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন, সরকারি মধ্যস্থতায় ধানসিঁড়ি পেট্রো কেমিক্যালে বেতনচুক্তি
দীর্ঘ ৬২ বছর পরে কলকাতা থেকে ডিব্রুগড় জলপথে পণ্য পরিবহণ শুরু হয়েছে। দু’ নম্বর জাতীয় জলপথ দিয়ে যাবে পণ্য । আগে এই জলপথে একটা সময় চা ও কলকাতা আমদানি-রফতানি হত । এবার ভারী যন্ত্রাংশ, কয়লা, ভোজ্য তেল, চা সরবরাহ হবে। ২ নম্বর জাতীয় জলপথ দিয়ে পণ্য পরিবহণে সময় লাগবে ৮ দিন। জাহাজ মন্ত্রকের দাবি এর ফলে অনেকটাই সস্তা হয়ে যাবে পণ্য পরিবহন।