প্রতিবেদন : রাজ্য রাজনীতিতে শিক্ষক নিয়োগে চাপানউতোরের মধ্যেই প্রধান শিক্ষক ও নতুন শিক্ষকের পদে দ্রুত নিয়োগ শুরুর কথা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। উচ্চপ্রাথমিক, নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ২১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। পুজোর আগেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে বলে সোমবার জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
আরও পড়ুন-ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দিল হাওয়া অফিস
এদিন নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শিক্ষা দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী। সেখানেই প্রধান শিক্ষক ও নতুন শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আলোচনা হয়। মূলত, আপার প্রাইমারি, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে প্রধান শিক্ষক ও নতুন শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া কীভাবে করা যায় তাই নিয়ে যাবতীয় আলোচনা হয়। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় এবং এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার।
ব্রাত্য বসু জানান, এদিনের বৈঠক খুবই ইতিবাচক হয়েছে। খুব দ্রুত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। বোর্ডের সঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের রোস্টার নিয়ে কিছু সমস্যা হচ্ছিল। সেই সমস্যা কীভাবে দূর করা যায় সেই নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন-দুর্ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ, আহতদের দেখতে হাসপাতালে মন্ত্রী অরূপ, নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা
পুজোর আগেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে বলে জানান তিনি। এ-ছাড়াও, এই নিয়োগের নিয়মের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ব্রাত্য বলেন, ‘নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়মের ব্যাপক পরিবর্তন হচ্ছে। সেই নিয়মগুলি আইনমন্ত্রীর কাছে পাঠাচ্ছি আমরা।’ অর্থাৎ বলাই চলে, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নতুন নিয়মেই করতে চায় রাজ্যের শিক্ষা দফতর। এর আগেও এই নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে বৈঠক করেন ব্রাত্য বসু।
তবে এদিনের বৈঠকে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগামী ৮ তারিখ ওঁরা আমার কাছে চিঠি দিয়ে বৈঠকে বসতে চেয়েছিল। যদিও সেই চিঠি আমি এখনও হাতে পায়নি। সেই চিঠি পেলেই আগামী ৮ তারিখ বৈঠকে বসব।’
আরও পড়ুন-পঞ্চম স্থানে শেষ করলেন প্রণতি
উল্লেখ্য, ২৯ জুলাই রাজ্য সরকার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে বাংলায় কত শিক্ষকপদ শূন্য রয়েছে তার হিসেব দিয়েছে। সেখানে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, নবম-দশম শ্রেণিতে ১৩,৫১২টি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে ৫,৩২৭টি এবং ২,৩২৫টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ২১ হাজারের হিসেব দিয়েছিল। সোমবার ব্রাত্য শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সেই কথাই জানালেন।