নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sudip Banerjee) দিল্লির বাড়িতে বুধবার সাতসকালে হাজির হন মোদি। তবে ইনি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নন, এই মোদি হলেন প্রধানমন্ত্রীর নিজের ভাই প্রহ্লাদ মোদি (Modi’s Brother Prahlad Modi)। এই মুহূর্তে যিনি মোদি সরকারের রেশননীতির কড়া সমালোচনা করছেন, যন্তরমন্তরে কেন্দ্রবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি প্রহ্লাদ মোদি। আর তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান। সেই কারণেই গণবন্টন সম্পর্কিত কিছু সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য তাঁর বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলেন প্রহ্লাদ মোদি।
জানা গিয়েছে, তৃণমূল সাংসদের কাছে ন’দফা দাবির কথা তুলে ধরেন প্রহ্লাদ মোদি (Modi’s Brother Prahlad Modi)। মঙ্গলবার থেকে মোদি সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে দিল্লির যন্তরমন্তরে ধরনায় বসেছেন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস অফ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাই প্রহ্লাদ মোদি। কমিশন বৃদ্ধি করা, রেশন ডিলারদের করোনাযোদ্ধা ঘোষণা করা সহ একাধিক দাবিতে তাঁদের এই ধরনা অবস্থান। প্রধানমন্ত্রীর ভাই প্রহ্লাদ মোদি নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদের সাক্ষাৎপ্রার্থী হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর ভাই প্রহ্লাদ মোদি ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের রেশন ব্যবস্থাকে ‘মডেল’ উল্লেখ করে তা সারাদেশে প্রয়োগ করার দাবি জানান। তিনি বলেন, করোনার সময় দেশের বেশিরভাগ মানুষ যখন আক্রান্ত লকডাউনের কারণে ঘরবন্দি সেই সময় মানুষের কাছে রেশন পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছেন ডিলাররা। কোনও পিপিই কিট ছাড়াই মানুষের কাছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেশন পৌঁছে দিয়েছেন তাঁরা। ফলে তাঁদের করোনাযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
আরও পড়ুন: পেলোসি তাইওয়ানে, মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব বেজিংয়ের
প্রসঙ্গত, গত ২০ জুলাই লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের লিখিত প্রশ্নের জবাবে রেশনিং বা গণবন্টন ব্যবস্থার দায় রাজ্যের ঘাড়ে চাপায় কেন্দ্রীয় সরকার। সৌগত রায়ের প্রশ্নের জবাবে খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি জানান,রেশন দোকানগুলির আরও উন্নতির জন্য খাদ্যসামগ্রী ছাড়াও অন্যান্য দ্রব্য বিক্রির অনুমতি দিতে পারে রাজ্য সরকারগুলি। রেশন দোকানগুলির উন্নয়নের জন্য একগুচ্ছ পরামর্শ বা প্রস্তাব দিয়েছেন সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। বর্তমানে রেশন ডিলারদের কমিশন ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে কুইন্টাল প্রতি ৯০ টাকা। দীর্ঘদিন ধরেই রেশন ডিলাররা কুইন্টাল প্রতি কমিশন অন্তত ৪০০ টাকা করার দাবি জানাচ্ছেন।