প্রতিবেদন : সকালে শহরে এলেন, বিকেলে দল নিয়ে অনুশীলনে নেমে পড়লেন ইস্টবেঙ্গলের নতুন হেড কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। মাঝে হোটেলে বিশ্রামের ফাঁকেই কর্তাদের সঙ্গে ছোট্ট বৈঠক। সেখানে বিদেশি ফুটবলার নিয়ে আলোচনা সেরে নেন। এদিন অনুশীলন দেখার কথা থাকলেও সে পথে হাঁটেননি ভারতীয় দলের প্রাক্তন ব্রিটিশ কোচ।
আরও পড়ুন-বকেয়া ঋণ নিয়ে তোপ
বরং বিকেলে ঘড়ি ধরে তিনটের সময় সবার আগে মাঠে নেমে পড়েন স্টিফেন। তারপর সিনিয়র দলের ১৫ জন ফুটবলারকে ঘণ্টাখানেক প্র্যাকটিস করান। সার্থক গোলুই, সৌভিক চক্রবর্তী, ভি পি সুহের, জেরি, অমরজিৎদের সঙ্গে অনুশীলনে ছিলেন সই হয়ে যাওয়া অভিজ্ঞ গোলরক্ষক শুভাশিস রায়চৌধুরীও। প্রথমে টিম মিটিং। তার পর ওয়ার্ম আপ, বল নিয়ে নড়াচড়া এবং শেষে দৌড়। ফুটবলারদের বুঝিয়ে দিলেন, লড়াকু ফুটবলটাই আসল। তিন বছর পর নিজেদের মাঠে অনুশীলনে নামল ইস্টবেঙ্গল। সমর্থকদের আবেগটাও টের পেলেন সাহেব কোচ। বললেন, ‘‘মাঠে দর্শক ফিরছে এটা ভাল দিক। সমর্থকদের উপস্থিতি ছাড়া তো ভাল ফুটবল সম্ভব নয়।’’
আরও পড়ুন-শুধু ভাঙা নয়, সরকার কিনে নেওয়ার চেষ্টা চলছে, বিস্ফোরক অভিযোগ হেমন্ত সোরেনের
অনুশীলনের মাঝেই স্টিফেনের গলায় মালা পরিয়ে দেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। ইস্টবেঙ্গলের রিমোট কন্ট্রোল হাতে নিয়ে প্রথমদিন স্টিফেন যা বললেন, তাতে আইএসএলের বাকি দলগুলির চিন্তা বাড়তেই পারে। স্টিফেন বললেন, ‘‘প্রথম মরশুমেই ইস্টবেঙ্গল আইএসএল জিতবে বলছি না। তবে প্রতিপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে খেলতে ভয় পাবে। সেভাবেই আমরা তৈরি হব। আমাদের পরিশ্রম করতে হবে। মানসিকতায় বদল আনতে হবে। খেলোয়াড়দের মানের দিক দিয়ে হয়তো একটু খামতি থাকতে পারে। কিন্তু পরিশ্রম করে সেই ঘাটতি দূর করে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।’’ বাকি দলগুলির থেকে একটু দেরিতেই অনুশীলনে নামল ইস্টবঙ্গল।
আরও পড়ুন-পালাগান বাঁচাতে সরকারি উদ্যোগে কর্মশালা
বাস্তববাদী স্টিফেন বলে দিলেন, ‘‘বাছবিচার করার সময় নেই আমাদের হাতে।’’ ক্লাবের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, শনিবারের মধ্যে বিদেশি চূড়ান্ত করে ফেলতে চাইছেন স্টিফেন। সম্পূর্ণ ভারতীয় স্কোয়াড নিয়ে সোমবার থেকে শুরু হবে পুরোদমে অনুশীলন। প্রথম দল নিয়ে ব্রিটিশ কোচের অনুশীলন শেষে সহকারী কোচ বিনো জর্জ রিজার্ভ দল নিয়ে মাঠে নামেন। যে দলটি কলকাতা লিগে খেলবে। তাদেরও আলাদা ক্লাস নেন স্টিফেন। রিজার্ভ দল এবং ক্লাবের অ্যাকাডেমি থেকে প্রতিভা অন্বেষণের কাজও করবেন বলে জানিয়েছেন লাল-হলুদের ব্রিটিশ কোচ।