বার্মিংহাম : প্রথমবার কমনওয়েলথ গেমস খেলতে নেমেই ফাইনালে হরমনপ্রীত কৌররা (India Women vs England Women)। শনিবার সেমিফাইনালে টানটান উত্তজেনার মধ্যে ইংল্যান্ডকে ৪ রানে হারিয়ে নাটকীয় জয় ছিনিয়ে নেয় ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। হরমনপ্রীতদের সামনে এবার সোনা জয়ের হাতছানি। এদিন প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৬৪ রান তুলেছিল ভারত। পাল্টা ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬০ রানেই আটকে যায় ইংল্যান্ড।
ভারতের এই জয়ে ব্যাট হাতে বড় ভূমিকা পালন করেন ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা। মাত্র ২৩ বলে ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। যা টি-২০ ফরম্যাটে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির নতুন রেকর্ড। শেষ পর্যন্ত স্মৃতি আউট হন ৩২ বলে ৬১ রান করে। ৩১ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেন জেমাইমা রডরিগেজ।
আরও পড়ুন: জাদুঘরের পাশে CISF-র বারাকে চলল এলোপাথাড়ি গুলি: মৃত ১ এএসআই, ধৃত অভিযুক্ত
পাল্টা রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই দ্রুত গতিতে রান তুলছিল ইংল্যান্ড (India Women vs England Women)। ওপেনার সোফিয়া ডাঙ্কলে আউট হন ১০ বলে ১৯ রান করে। তাঁর সঙ্গী ড্যানি ওয়াটের অবদান ২৭ বলে ৩৫ রান। তবে এলিস ক্যাপসে ১৩ রানে আউট হলে ৮১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। ওই পরিস্থিতিতে পাল্টা লড়াই শুরু করেন ন্যাট স্কিভার ও অ্যামি জোন্স। তাঁরা যখন ব্যাট করছিলেন, তখন মনে হয়েছিল ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত। কিন্তু ২৪ বলে ৩১ রান করে জোন্স এবং ৪৩ বলে ৪১ রান করে স্কিভার আউট হতেই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। শেষ ওভারে জেতার জন্য ১৪ রান করতে হত ইংল্যান্ডকে। কিন্তু স্নেহ রানার করা ওভারে ৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি তারা।
ম্যাচের পর উচ্ছ্বসিত হরমনপ্রীতের বক্তব্য, ‘‘আমি সতীর্থদের জন্য গর্বিত। ইংল্যান্ড যখন দ্রুত গতিতে রান তুলছিল, তখনও ভাবিনি ম্যাচ থেকে ছিটকে গেলাম। বরং নিজেদের উপরে আস্থা অটুট ছিল। জানতাম একটা বা দুটো উইকেট পড়লেই ম্যাচ ঘুরে যাবে।’’ এদিনও চোট পেয়েছেন জেমাইমা। যার জন্য শেষ ওভারে ফিল্ডিং করেননি। হরমনপ্রীত বলছেন, ‘‘জেমাইমা লড়াকু চরিত্রের ক্রিকেটার। ওর চোট মোটেই গুরুতর নয়।”