সংবাদদাতা, মালদহ : প্রাথমিক স্কুলে মিড-ডে মিলের খাবারের মান কেমন? সারপ্রাইজ ভিজিটে এসে স্কুল পরিদর্শন করলেন জেলাশাসক। মাদুরে বসে খুদে পড়ুয়াদের সঙ্গে মিড-ডে মিলের খাবার খেয়ে মান নির্ণয় করলেন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিঙ্ঘানিয়া (District Magistrate Nitin Singhania)। শনিবার মালদহের মালতীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহদিপুর প্রাথমিক স্কুলে আচমকাই পরিদর্শনে যান জেলাশাসক। স্কুলে প্রবেশ করেই সটান মিড-ডে মিলের রান্নাঘরে ঢুকে পড়েন জেলাশাসক। হাতে নেড়েচেড়ে মজুত খাদ্যসামগ্রী ও সবজি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি সাপ্তাহিক খাওয়ার রুটিনও দেখেন। জেলাশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন চাঁচলের মহকুমা শাসক কল্লোল রায় ও চাঁচলের বিডিও দিব্যজ্যোতি দাস। সেইসময় স্কুলে চলছিল পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলের খাবার পরিবেশন। হঠাৎ পড়ুয়াদের পাশে গিয়ে মাদুর পেতে বসলেন জেলাশাসক (District Magistrate Nitin Singhania)। স্টিলের থালায় নিলেন ভাত-সবজি। এছাড়াও পাতে ছিল ডাল, পাঁপড় ও চাটনি। খাওয়া চলাকালীন পড়ুয়াদের সঙ্গে খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন করেন জেলাশাসক। খাওয়া সেরে নিজের থালা নিজেই ধুয়ে এবং সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে প্রশিক্ষণ দিলেন পড়ুয়াদের। এলাকার স্কুলে জেলাশাসক এসেছেন। এই খবর চাউর হতেই জড়ো হন গ্রামাবাসীরা। এখানেই মাদুর পেতে গ্রামবাসীদের বসার পাশাপাশি জেলাশাসকও বসেন। জনতার দরবারের অনেকেই একে একে নিজেদের অভিযোগ ও দাবি জানাতে থাকেন। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে পানীয় জলের ব্যবস্থা ভূরি ভূরি দাবি তুলে ধরেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের কাছ থেকে দাবি ও অভিযোগ লিখিত আকারে নেন এবং দ্রুত সমস্যার সুরাহার আশ্বাসও দেন। এছাড়াও মালতীপুর-গৌরহন্ডগামী রাস্তার বাইপাস সংলগ্ন মদের ঠেক থাকায় কটূক্তির শিকার হন এলাকার তরুণী থেকে শুরু করে গৃহবধূরা বলে অভিযোগ। যেন নির্বিঘ্নে যান চলাচল করা যায়, সেই দাবিও জানানো হয় মহদিপুরবাসীর তরফে।
আরও পড়ুন: জাদুঘরের পাশে CISF-র বারাকে চলল এলোপাথাড়ি গুলি: মৃত ১ এএসআই, ধৃত অভিযুক্ত