সংবাদদাতা, সুন্দরবন: একা রামে রক্ষে নেই। আবারও রাজ্যে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি। তার সঙ্গে আছে পূর্ণিমার ভরা কোটাল। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে। প্রশাসন চিন্তায়, একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তৎপর। নিম্নচাপের জেরে সোমবার থেকে ভারী বৃষ্টি, সঙ্গে সুন্দরবন (Sundarban) উপকূলে ঘণ্টায় ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে। আবহাওয়া দফতর দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের সবকটি ব্লককে সতর্ক করে দিয়েছে। বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে বেরিয়েছিল সুন্দরবনের হাজার তিনেক ট্রলার। তার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ফাঁড়া। ৮ থেকে ১১ অগাস্ট উত্তাল থাকবে সমুদ্র। তাই সোম থেকে বৃহস্পতিবার, চারদিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। মৎস্য দফতর ও পুলিশ শনিবার সকাল থেকে সুন্দরবনের (Sundarban) নামখানা, সাগর, কাকদ্বীপে সতর্ক-প্রচার চালাচ্ছে। রবিবার রাতের মধ্যে সব ট্রলারকে বন্দরে নিরাপদস্থানে চলে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই মতো কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ বন্দরে সার দিয়ে ফিরছে ট্রলার। শনিবার সকাল থেকে মেঘলা আকাশ। মাঝে মাঝে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিও হচ্ছে। মৎস্যজীবীরা জানালেন, ইতিমধ্যে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে। সতর্কবার্তা পেয়ে ট্রলার নিয়ে ফিরে এসেছি। মৎস্য দফতরের পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা পেয়ে সব ট্রলারকে দ্রুত ফিরে আসতে বলা হয়েছে, জানিয়েছেন কাকদ্বীপের সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র। নিম্নচাপের মধ্যেই বৃহস্পতিবার থেকে পূর্ণিমার ভরা কোটাল। কোটাল ও নিম্নচাপের জোড়া ফলায় আশঙ্কার প্রহর গুনছে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষ। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি মহকুমাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েকদিন কর্মীদের সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিড-ডে মিলের মান দেখতে জেলাশাসক