প্রতিবেদন : তাইওয়ানকে ঘিরে ধরে জল, স্থল ও আকাশপথে মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে চিন। পূর্ব চিন সাগরে একাধিক চিনা যুদ্ধজাহাজের নিশানায় তাইওয়ানের বন্দর ও নৌঘাঁটি। আকাশপথে চক্কর কেটে চলেছে কমপক্ষে ৬৮টি যুদ্ধবিমান। সামরিক মহড়া চালাতে গিয়ে তাইওয়ান প্রণালীর একাবারে কাছাকাছি চলে এসেছে লালফৌজের রণতরী ও বোমারু বিমান। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কূটনৈতিক মহল মনে করছে, যে কোনও মুহূর্তে তাইওয়ানে হামলা চালাতে পারে বেজিং।
আরও পড়ুন-গত ৫ বছরে প্রায় ১০ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ মকুব! পালাচ্ছেন ঋণখেলাপীরা, তবু সদয় ব্যাঙ্কগুলি
শুক্রবার লালফৌজের মহড়া চলাকালীন ৬৮টি চিনা যুদ্ধবিমান ও ১৩টি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালীর কাছাকাছি চলে এসেছিল। তাইওয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, আন্তর্জাতিক চুক্তি ভেঙে তাইওয়ান প্রণালীর কাছাকাছি চলে এসেছিল চিনের যুদ্ধজাহাজ। চিনের উদ্দেশ্য হল তাইওয়ানের নৌঘাঁটিগুলিকে ঘিরে ফেলা। জল ও আকাশসীমা সংক্রান্ত নীতি লঙ্ঘন করে লালফৌজ অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে।
চিনের বিদেশ এবং প্রতিরক্ষা দফতরের তরফেও তাইওয়ানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢুকেছে ঝাঁকে ঝাঁকে চিনা যুদ্ধবিমান। তাইওয়ান প্রণালীকে বিপজ্জনক ঘোষণা করেছে বেজিং।
আরও পড়ুন-স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দিন মহরমের আশুরা
তাইপের অভিযোগ, তাইওয়ান প্রণালীতে অন্তত ১১টি চিনা ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়েছে। চিন ও তাইওয়ানের সংযোগকারী ওই প্রণালী বিশ্ব অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ওই প্রণালী অবরুদ্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে বেজিং। যদিও তাইওয়ানের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে চিন। বেজিংয়ের দাবি, জাতীয় নিরাপত্তার কারণেই সামরিক মহড়া চলছে। তবে গত সাত দশকের সংঘাত-পর্বে কখনওই তাইওয়ান সীমান্তের এত কাছে চিনা ফৌজের মহড়া হয়নি। পর্যবেক্ষকদের মতে, এখনই সরাসরি যুদ্ধের পথে না গেলেও চিন নানা কৌশলে তাইওয়ানকে চাপে রাখার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন-দোষী সাব্যস্ত যোগীর মন্ত্রী আদালত থেকে নিখোঁজ
তাইওয়ানের দাবি, জলসীমা এবং আকাশসীমা থেকে আঘাত হানা এবং হাতাহাতি লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করাই চিনের লক্ষ্য। আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, তাইওয়ানকে ঘিরে চিনের এই সামরিক মহড়া চরম সংকট তৈরি করতে পারে। রাশিয়া-ইউক্রেনের মতো ফের একটা নতুন যুদ্ধ হবে কি না তা নিয়ে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে।