সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর : ১৯০৫-এ বঙ্গভঙ্গের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বাংলায় হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্বের বন্ধন বাড়াতে রাখিবন্ধন উৎসব করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এবার মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির বন্ধন আরও সুনিবিড় করতে মাটির রাখি তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিলেন মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানার বাহাদুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকজন আদিবাসী মহিলা।
আরও পড়ুন-ব্রাত্য বসু ও এসএসসি চাকরিপ্রার্থী বৈঠক ইতিবাচক, জানালেন এসএসসি আন্দোলনকারীদের অন্যতম মুখ শহিদুল্লা
তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ছেলেমেয়েরাও। এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে ‘অনির্বাণ গাছের ইস্কুল’ কর্তৃপক্ষ। ফরাক্কার পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ‘গাছ গ্রিন হ্যান্ডস’-এর উদ্যোগে কয়েক বছর আগে এই স্কুল তৈরি হয়। নার্সারি থেকে নবম শ্রেণি, প্রায় ৭০ জন ছাত্রছাত্রী পড়ে। আদিবাসী-অধ্যুষিত শামলাপুর গ্রামে ছেলেমেয়েদের পাশাপাশি তাদের মায়েদেরও শিক্ষিত করার উদ্যোগ নিয়েছে ওই স্কুল। স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে সপ্তাহে একদিন তাঁদেরও ক্লাস হয় স্কুলে।
ফরাক্কা নুরুল হাসান কলেজের বাংলার শিক্ষক তথা ওই পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা অংশুমান ঠাকুর বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনের ভাবনায় স্কুলে গাছের তলায় ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস হয়। ওদের প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি সৃজনশীলতাকেও তুলে ধরা হয়। ছাত্রছাত্রীদের মায়েদের স্বনির্ভর করার যে লক্ষ্য নিয়েছি, তা রূপায়িত করতে এ-বছর প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে রাখি তৈরি করে সেগুলো বাজারে বিক্রির ব্যবস্থা করছি। ইতিমধ্যেই ৩৫০টি রাখি তৈরির বরাত পেয়েছি। গত কয়েক দিন ছাত্রছাত্রী ও তাদের মায়েরা তৈরি করছেন রাখি। তাতে ব্যবহার করা হচ্ছে ধানের তুষ, গোবর, মাটি ও প্রাকৃতিক রং।’