প্রতিবেদন : ইউক্রেনের জাপরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রে মিসাইল হামলা চালাল রাশিয়া। ঘটনার জেরে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, যে কোনও মুহূর্তে চেরনোবিলের মতো ভয়ঙ্কর ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। জাপরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রে যেভাবে পরপর মিসাইল হামলা হয়েছে তাতে যে কোনও মুহূর্তে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। অবিলম্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনলে হিরোশিমা ও নাগাসাকির সেই দৃশ্যে পুনরাবৃত্তি হতে পারে ইউক্রেনে। চলতি পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। রুশ হামলা নিয়ে মুখ খুলেছেন স্বয়ং রাষ্ট্রসংঘের প্রধান অ্যান্তনিও গুতেরেস। সোমবার জাপানে এক অনুষ্ঠানে গুতেরেস বলেন, পরমাণু কেন্দ্রে হামলার ঘটনা এক ভয়ঙ্কর আত্মঘাতী প্রবণতা। ইউক্রেনের ওই পরমাণু কেন্দ্র দেখভাল ও তদন্তের দায়িত্ব অবিলম্বে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার হাতে ন্যস্ত করা উচিত।
মার্চ মাসের শেষ দিকে জাপরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রটি রাশিয়া দখল করে নেয়। ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রচুর রুশ সেনা রয়েছে। পাশাপাশি সেখানে তারা মজুত করেছে অস্ত্রশস্ত্র। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Ukraine President Volodymyr Zelenskyy) এক ভিডিও বার্তায় সাফ জানিয়েছেন, জাপরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। আণবিক সন্ত্রাসবাদ ছড়াতে চাইছে রুশ সেনা। পাশাপাশি মস্কোর পরমাণু প্রকল্পের উপরেও আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আরজি জানিয়েছেন তিনি। ইউক্রেন তথা ইউরোপের বৃহত্তম জাপরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রটির নিয়ন্ত্রণ রয়েছে পুতিন বাহিনীর হাতে। গত কয়েকদিন ধরে এই এলাকাকে ঘিরেই তীব্র লড়াই চলছে দুই দেশের। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত শনিবার জাপরিঝিয়া পারমাণবিক কেন্দ্রে আছড়ে পড়ে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কেন্দ্রটির তিনটি রেডিয়েশন সেন্সর। আহত হয়েছেন দুই কর্মীও। রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত প্রশাসনের দাবি, ওই পারমাণবিক কেন্দ্রে রকেট লঞ্চার দিয়ে হামলা চালায় ইউক্রেনীয় সেনা। জেলেনস্কি (Ukraine President Volodymyr Zelenskyy) বাহিনীর হামলায় কেন্দ্রটির একটি বিল্ডিং ও ব্যবহৃত আণবিক জ্বালানির রাখার একটি গুদাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।