প্রতিবেদন : গত ২৪ ঘণ্টায় বেশ কিছুটা কমল রাজ্যের দৈনিক কোভিড সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচশোরও নিচে নেমেছে দৈনিক সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সুস্থতার হারও। কারণ করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের তরফে নেওয়া হয়েছে যথাযথ ব্যবস্থা। পুরসভাগুলোয় নিয়মিত চলছে পরীক্ষা। বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে বুস্টার ডোজ। মৃত্যু নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মত, দেহে অন্যান্য রোগের প্রকোপ থাকলে তবেই পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। তবে সচেতনতা বিধি মেনে চলতে অনুরোধ করা হয়েছে। করোনা নিয়ন্ত্রণে আগেই পথ দেখিয়েছিল ডায়মন্ড হারবার। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গোটা দেশের কাছে মডেল হয়ে উঠেছিল। ফের স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে নজির গড়ল ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলা। জেলা হাসপাতাল থেকে রোগী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা আখছার ঘটে। ক’দিন আগেও এ নিয়ে নবান্ন মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর দিনাজপুর, নদিয়া ও মালদা— এই পাঁচ জেলাকে বিশেষভাবে সতর্ক করেছিল। এই অবস্থায় এই জেলায় হাসপাতাল থেকে রোগী নিখোঁজ হওয়ার সংখ্যা শূন্য। সরকারি রিপোর্টেই ডায়মন্ড হারবারের চিকিৎসা পরিষেবার উন্নততর আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-শামিকে দরকার ছিল, বলছেন মোরে, শ্রীকান্ত, এশিয়া কাপ
সঙ্গে করোনা পরীক্ষা নিয়েও মডেল জেলা হিসাবে উঠে এসেছে ডায়মন্ড হারবার। সাধুবাদ পেয়েছিলেন সাংসদ অভিষেকও। করোনাকালে ডায়মন্ড হারবারেই শুরু হয়েছিল ডক্টর অন হুইলস। চিকিৎসা পরিষেবা পেতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়। এছাড়া নিয়মিত শিবির করে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থাও হয়েছিল। ডায়মন্ড হারবারের এই সাফল্যকে সব জেলায় পৌঁছে দিতে চাইছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। করোনা নিয়ে ক্রমাগত র্যাপিড টেস্ট এবং সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধে পরিষেবায় নজির গড়েছিল ডায়মন্ড হারবার। পরবর্তীতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলাতেও একইভাবে করোনা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তার সুফলও মিলেছে রাজ্যে। সর্বভারতীয় নিরিখে এরফলে এ রাজ্যে করোনার গ্রাফ অনেক নিম্নমুখী।