প্রতিবেদন : চিনের সেনা মহড়া নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করল তাইওয়ান। সে দেশের বিদেশমন্ত্রী জোসেফ ইয়ু দাবি করলেন, সামরিক মহড়ার আড়ালে পুরোদস্তুর যুদ্ধের প্রস্তুতি চালাচ্ছে চিন। সোমবারই তাইওয়ানের আশেপাশের অঞ্চলে ৪৫টি যুদ্ধবিমান ও ১০টি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে চিন (Taiwan- China)।
মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির (Nancy Pelosi) তাইওয়ান সফরের পরই ফের আগ্রাসী হয়ে উঠেছে বেজিং। তাইওয়ানকে ঘিরে সীমান্তের কাছেই শুরু করেছে সামরিক মহড়া। তিনদিনের জন্য এই মহড়া হওয়ার কথা থাকলেও, সেই মেয়াদ পার হওয়ার পরও মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে লালফৌজ (Taiwan- China)।
আরও পড়ুন: পেন্টাগনের দাবি যুদ্ধে প্রায় ৮০ হাজার রুশসেনা হতাহত হয়েছে
মার্কিন প্রতিনিধির সফর নিয়ে প্রথম থেকেই প্রবল আপত্তি ছিল চিনের। কিন্তু চিনের অনুরোধ ও হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করেই তাইওয়ান সফরে যান পেলোসি। তাঁর সফরের প্রথমদিনই তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে ২১টি চিনা যুদ্ধবিমান। পেলোসি তাইওয়ান ছাড়তেই আরও ২৭টি চিনা যুদ্ধবিমান দেখা যায় তাইওয়ানের আকাশে। এরপরই তাইওয়ান সীমান্তের কাছে সামরিক মহড়া শুরু করে চিন।
বুধবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক ট্যুইট করে জানায়, বিকেল ৫টা নাগাদ ১০টি রণতরী ও ৪৫টি যুদ্ধবিমানকে তাইওয়ানের সীমান্তের আশেপাশে পাক খেতে দেখা যায়। তাইওয়ানের সশস্ত্র বাহিনী গোটা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছে। চিনের এই মহড়ার জবাবে তাইওয়ানও যুদ্ধ জাহাজ ও মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন করেছে। তাইওয়ানের বিদেশমন্ত্রী বলেন, তাইওয়ান প্রণালী সহ সীমান্তের আশেপাশে একাধিক জায়গায় মহড়া চালাচ্ছে লালফৌজ। দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত না থাকলেও এই সীমা কোনও দেশের সেনাই পার করে না। চিনের এই পদক্ষেপ আসলে সামরিক আগ্রাসনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। আত্মরক্ষার্থে তাইওয়ানও ইতিমধ্যেই কমব্যাট এয়ার পেট্রোল শুরু করেছে। সীমান্তে পাঠানো হয়েছে ডিফেন্সিভ মিসাইল সিস্টেম। চিনা যুদ্ধবিমান দেখলেই রেডিয়ো মারফত সতর্কবার্তা পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও চিনের দাবি, তারা সীমান্ত লঙ্ঘন করেনি। নিয়ম মেনেই তারা যুদ্ধের মহড়া চালাচ্ছে। তাইওয়ান তাদের ভূখণ্ডেরই অংশ। এক্ষেত্রে সীমান্ত পার বা আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গের প্রশ্নই ওঠে না।