সংবাদদাতা, ভগবানপুর : বন্যা-প্রতিরোধে প্রশাসনিক উদ্যোগে শেষ পর্যন্ত কেলেঘাই নদীর চর থেকে শুরু হল ইটভাটা সরানোর কাজ। কয়েকশো কোটি টাকা খরচ করে কেলেঘাই নদী সংস্কারের পরও গত বছর ভয়ঙ্কর বন্যার সম্মুখীন হয়েছিল এখানকার লক্ষ লক্ষ মানুষ। বন্যার প্রধান কারণ ছিল গতিপথ আটকে নদীর বুকে গড়ে ওঠা গাদা গাদা ইটভাটা ও মাছের ভেড়ি। সেচ দফতরের জমিতে কী করে গড়ে উঠল ইটভাটা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার মানুষ।
আরও পড়ুন-বাঁধ-পরিস্থিতি দেখলেন মন্ত্রী, নিম্নচাপ, কোটালে
শেষ পর্যন্ত জেলাশাসক, মহকুমা শাসক, বিডিও এবং ভূমি ও সেচ দফতরের আধিকারিকদের সক্রিয়তায় উচ্ছেদের কাজ শুরু হল। কেলেঘাইয়ের দক্ষিণ তীরে মহম্মদপুর গ্রাম। সেখানে অন্নপূর্ণা ইটভাটা একসময় ব্যক্তিগত জমিতে থাকলেও নদী সম্প্রসারণের ফলে সেটি চলে যায় সেচ দফতরের অধীনে। তারপর থেকে বকচরের বিস্তৃত এলাকা দখল করেই চলছিল ইটভাটা। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যের সমস্ত নদীর চর ও পাড় থেকে উচ্ছেদ করতে হবে ইটভাটা। শেষপর্যন্ত প্রথম ইটভাটাটি সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হল। অন্নপূর্ণা ইটভাটার মালিক মানসকুমার মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘‘প্রশাসনের তরফে চাপ আসছিল। তাই ভাটা সরিয়ে নিচ্ছি। নদীবাঁধের ওপারে নতুন ভাটা তৈরি হবে।’’
আরও পড়ুন-শুভেন্দুর গুজরাতের ব্যাঙ্কে টাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল
দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের সভাপতি দেবাশিস শ্যামল বলেন, ‘‘এই সব ইটভাটা নদীনির্ভর ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক মৎস্যজীবীদের জীবন-জীবিকার জন্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।’’ জেলাশাসক পূর্ণেন্দুকুমার মাজি বলেন, ‘‘জেলার রূপনারায়ণ ও হলদি নদীর চর বা পাড় থেকে ইতিমধ্যেই সরানো হয়েছে একাধিক ইটভাটা। প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আগামিদিনেও চলবে।’’