শুভেন্দুর গুজরাতের ব্যাঙ্কে টাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল

দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের হেনস্তা করা ও ধরপাকড়ে যে তৎপরতা, তার ছিটেফোঁটাও বিজেপি-আশ্রিত অপরাধীদের জন্য নেওয়া হচ্ছে না।

Must read

সংবাদদাতা, কাঁথি : দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের হেনস্তা করা ও ধরপাকড়ে যে তৎপরতা, তার ছিটেফোঁটাও বিজেপি-আশ্রিত অপরাধীদের জন্য নেওয়া হচ্ছে না। দীর্ঘদিন এই অভিযোগে সরব তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার এ নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও তাঁর ভাইকে তীব্র আক্রমণ করলেন কাঁথি-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা প্রদীপ গায়েন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিভিন্ন জায়গায় চোর ধরো জেল ভরো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে নিজে সাধু সাজার চেষ্টা করলেও, টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার জন্য তাঁর জেলের ভেতরেই থাকার কথা। চোর যদি ধরতেই হয়, তাহলে সবার আগে শুভেন্দুকে ধরা উচিত। কারণ তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তো বটেই, রাজ্যের সবচেয়ে বড় চোর।’’

আরও পড়ুন-দেশবাসীকে রাখিবন্ধনের শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেকের

প্রদীপের দাবি, অবিলম্বে শুভেন্দুকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। বলেছেন, ‘‘শুধু শুভেন্দু নয়, এই একই দোষে দুষ্ট ওঁর ছোট ভাই তথা বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক সৌমেন্দু অধিকারীও। ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষকপদে পরিচিতদের থেকে টাকা নিয়ে নিয়োগের ব্যবস্থা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। এই রকম ঘটনায় তাঁর ভাই সৌমেন্দুও অভিযুক্ত। নিয়োগ বাতিল হওয়া শিক্ষকরা টাকা ফেরতের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। ইতিমধ্যেই কাঁথি থানায় দুই অধিকারী ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে।’’ প্রদীপের দাবি, ‘‘বিরোধী দলনেতা চার হাজার কোটি টাকার মালিক। সেই টাকা গুজরাতের ব্যাঙ্কে রয়েছে। শুভেন্দু নিজের পিছনে ইডি বা সিবিআইকে না লাগানোর জন্য, বিজেপি নেতা অমিত শাহকে এক হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন। শুভেন্দুর যদি সাহস থাকে, আমার বিরুদ্ধে মামলা করুন। আমি যা বলার আদালতে বলব।’’ শুভেন্দুর বিধায়কপদ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এ সব অভিযোগ নিয়ে শুভেন্দু বা সৌমেন্দুর বক্তব্য জানা যায়নি।

Latest article