সুস্মিতা মণ্ডল, সাগরদ্বীপ : রাজ্য সরকার দাঁড়াল সুন্দরবনের ভাঙন-কবলিত দ্বীপ ঘোড়ামারার গৃহহীন বাসিন্দাদের পাশে। তাঁদের জমির পাট্টা ও দলিল দিল। পরে ঘরও বানিয়ে দেবে। সরকারের এই ভূমিকায় খুব খুশি গৃহহীন মানুষরা। প্রতিদিন ভাঙতে ভাঙতে ছোট হচ্ছে ঘোড়ামারা দ্বীপ। আমফান ও ইয়াসের জেরে তছনছ হয়ে যায়। প্রচুর মানুষ ভিটেমাটি হারান।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে নবরূপ পেল দেবীচৌধুরানী মন্দির
গত কয়েক বছরে অনেকে দ্বীপ ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। নদীবাঁধের কাছে থাকা ৩০টি পরিবার এখনও স্কুলে আশ্রয় নিয়ে আছে। তাঁদের বাড়ি বলে আর কিছু নেই। শনিবার সাগরের ব্লক অফিস রুদ্রনগরে ঘোড়ামারা দ্বীপের ৩০ জন ভূমিহীন বাসিন্দার হাতে সরকারের পক্ষ থেকে জমির পাট্টা ও দলিল তুলে দেওয়া হল। উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, জেলাশাসক পি উলগানাথন, অতিরিক্ত জেলাশাসক নীতীশ ঢালি, মহকুমা শাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায়, বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল প্রমুখ।
সাগরের ধসপাড়া সুমতিনগরে এই পরিবারগুলিকে জমি দেওয়া হল। এরপর সরকারের উদ্যোগে পাকাবাড়ি ও শৌচাগার বানিয়ে দেওয়া হবে। বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের জন্য থাকবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন, দীর্ঘদিন ভাঙনের জেরে বিপর্যস্ত ঘোড়ামারা দ্বীপ। আমফান ও ইয়াসে প্রচুর মানুষ ভিটে হারায়। কিছু পরিবারকে স্কুলে আশ্রয় দিতে হয়েছে। আজ ৩০টি পরিবারের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেওয়া হল।
আরও পড়ুন- উপাচার্যের অপসারণের দাবি
জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, প্রত্যেককে ২০ শতক করে জমি দেওয়া হল। সরকার বাড়ি করে দেবে। ওই দ্বীপের বাসিন্দাদের রক্ষা করাই আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। জমির পাট্টা পেয়ে খুশি গৃহহীন মানুষরা। ঘোড়ামারার শেখ আফতাবউদ্দিন বলেন, আমার বাড়িটা ছিল একদম নদীর পাড়ে। ঝড়ে পুরো বাড়িটাই জলে ডুবে গিয়েছিল। পরে ভেসে যায়। তখন থেকে স্কুলে আছি। আজ পাট্টা পেয়ে অন্তত মাথা গোঁজার ঠাঁই হল।