আগরতলা : আজ ত্রিপুরা জুড়ে পালিত হবে শিক্ষক দিবস। আগরতলা সহ ত্রিপুরার সব জেলাতেই শিক্ষক দিবসের কর্মসূচি পালন করবেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। সম্মান জানানো হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। এর আগে ত্রিপুরায় এই ধরনের উদ্যোগ শাসক দল বিজেপি তো বটেই, সিপিএম-কংগ্রেস কেউই নেয়নি।
শনিবার পশ্চিম ত্রিপুরার সোনামুড়ায় টাউন হলে কর্মী সম্মেলন করে তৃণমূল কংগ্রেস। সম্মেলনে এদিনও প্রায় তিনশোরও বেশি কর্মী অন্যান্য দল থেকে তৃণমূলে যোগ দেন। এর মধ্যে তিনজন বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছেন। যাঁরা বিজেপির টিকিটে জিতেছেন। সম্মেলনে উপস্থিত মন্ত্রী মলয় ঘটক, সুস্মিতা দেব এবং সুবল ভৌমিকের হাত ধরে তাঁরা তৃণমূল গ্রেসে যোগ দেন। প্রায় এক হাজার কর্মী-সমর্থক এই সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন কোভিড বিধি মেনেই।
আরও পড়ুন- কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আজ মহাপঞ্চায়েত
পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মা মাটি মানুষের সরকার উন্নয়ন করে দেখিয়েছে। মানুষের জন্য বাংলায় প্রচুর জনমুখী প্রকল্প চালু করেছেন। বাংলার আপামর জনসাধারণ তৃণমূল কংগ্রেসকে দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেছে। ত্রিপুরাতেও তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার তৈরি হলে বাংলার মতো সবক’টি জনমুখী প্রকল্প এখানেও চালু হবে। ত্রিপুরার গরিব খেটে খাওয়া মানুষ উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুন- রাজ্যে তিন কেন্দ্রে ভোটের জন্য কড়া গাইডলাইন প্রকাশ কমিশনের
সুস্মিতা দেবের কথায়, তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরার মানুষের পাশে আছে কিন্তু আপনাদেরও মাঠে নামতে হবে। বিজেপি ত্রিপুরার মানুষকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনওটাই পালন করেনি। তৃণমূল কংগ্রেস কাজে বিশ্বাসী, কথায় নয়। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। কিন্তু ত্রিপুরায় মহিলাদের জন্য বিজেপি সরকার কিচ্ছু করেনি। প্রত্যেকটি বিধানসভায় একটা করে ডিগ্রি কলেজ করবে বলেছিল, একটাও করেনি। রবিবার দিনভর আগরতলায় একাধিক কর্মসূচি রয়েছে মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং সুস্মিতা দেবের। রয়েছে দলীয় বৈঠকও। যোগ দেবেন ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা।