সংবাদদাতা, সুন্দরবন : আবারও নতুন করে দুর্যোগের আশঙ্কা দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাত থেকে রবিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। সঙ্গে ঝোড়ো বাতাস। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৎপর জেলা প্রশাসন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে বাঁধ মেরামতি। ইতিমধ্যে সুন্দরবনের ৩০ থেকে ৪০টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। ওখানে ধাপে ধাপে গড়ে তোলা হবে বাঁধ। কিছু এলাকায় কংক্রিটের বাঁধও হবে। সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক কাকদ্বীপে সেচভবনে আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে বাঁধ নির্মাণের হাল হকিকত খোঁজ নিয়েছেন। সেখানে দফতরের প্রধান সচিব ছিলেন।
আরও পড়ুন-রেশন ডিলারদের উৎসাহ ভাতা বাড়ল
ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। কাকদ্বীপের বুধাখালিতে একটি নির্মীয়মাণ বাঁধের কাজ ঘুরে দেখেন। বৈঠকে বাঁধ নির্মাণ নিয়ে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে পূর্ণিমার কোটাল ও নিম্নচাপের জোড়া ফলায় সুন্দরবনের নদী ও সমুদ্রবাঁধের জলস্তর প্রায় সাত মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। বাঁধ উপচে জল ঢোকে লোকালয়ে। সুন্দরবনের ১৩টি ব্লকে সব ক’টি উপকূল এলাকার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে মাটির বাঁধগুলি। সামনে ষাঁড়াষাঁড়ির কোটাল। জলস্তর আরও বৃদ্ধির শঙ্কা। সেজন্যই যতটা সম্ভব বাঁধ মেরামতির কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে সেচ দফতর। শেষ কয়েকটি কোটালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাগর ব্লক।
আরও পড়ুন-প্রিয়জনদের মধ্যে থেকেও একাকিত্বে ভুগেছি : বিরাট
এই ব্লকের বঙ্কিমনগর, মহিষামারি, কচুবেড়িয়া, মুড়িগঙ্গা, তপোবন-সহ ৯টি ভাঙন কবলিত এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ব্লকে প্রায় দেড় হাজার মিটার বাঁধ মেরামতির প্রয়োজন। টানা দুর্যোগে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। তবে দু-একদিনের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, ‘বেহাল বাঁধ চিহ্নিত করেছি। দ্রুত কাজ শুরু হবে।’