প্রতিবেদন : বর্ষার মরশুমে ডেঙ্গু-সহ সমস্ত মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিল নবান্ন (Dengue- Nabanna)। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন অফিস ছাড়াও আবাসন এবং নিকাশি খাল নিয়মিত পরিষ্কার করার জন্য জেলাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের পৌরোহিত্যে নবান্নে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে প্রায় দেড় ঘণ্টার ভার্চুয়াল বৈঠক হয়, সেই বৈঠকেই এই নির্দেশ দেওয়া হয় বলে নবান্ন সূত্রে খবর। কোথাও যেন জল জমে না থাকে তার উপরে নজরদারির কথা বলা হয়েছে। মশার লার্ভা নিধনে কীটনাশক এবং গাপ্পি মাছ ব্যবহার করার কথা বলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ত্রাণ
হাসপাতালগুলিতেও রোগের প্রতিষেধক হিসাবে ব্যবহৃত ওষুধ যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত থাকে তার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব। করোনা আতঙ্ক পুরোপুরি বিদায় নেওয়ার আগেই রাজ্যে ফের একবার ডেঙ্গুর (Dengue- Nabanna) প্রকোপ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত বছরের তুলনায় এবছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৭ গুণ বেড়েছে। ইতিমধ্যে কলকাতার ১৩টি ওয়ার্ডকে অতি ডেঙ্গুপ্রবণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শুধু কলকাতা নয়, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, হুগলি ও জলপাইগুড়ি এই পাঁচ জেলায় ডেঙ্গুর প্রকোপ সর্বাধিক। রাজ্যের বিভিন্ন শহর ও শহরতলিতে ডেঙ্গু এমন ভয়াবহ আকার নেওয়ায় উদ্বিগ্ন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে শীর্ষে থাকা পুর এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে সেখানে ডেঙ্গু দমনে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজে নামার নির্দেশ দিয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী গত ১১ অগাস্ট থেকে ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গু সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৫৩৫ জনের। তার আগের সপ্তাহে এই সংখ্যাটা ছিল ৫৪৮ জনের। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১৭ অগাস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৪১৮৪। এর মধ্যে হাওড়া জেলায় ১০৭ জন, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ৮৭ জন, কলকাতায় ৭৪ জন, হুগলিতে ৭০ জন ও জলপাইগুড়িতে ৩৩ জন এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত।