সংবাদদাতা, আসানসোল : দু’বছর পর কোভিডের আতঙ্ক মিইয়ে যেতে পুজোর মুখে আড়মোড়া ভেঙে সুটকেশ গোছানোর প্ল্যান পাকা করতে শুরু করেছে ভ্রমণরসিক বাঙালি। বড় বাজেটে দেশ-বিদেশ ঘোরার প্ল্যানের পাশাপাশি ছোটখাটো বাজেটে কাছেপিঠে ঘোরার পরিকল্পনাও আছে। পুজোর ছুটিতে মাইথন থেকে দেবী কল্যাণেশ্বরীর শান বাঁধানো ঘাট বা কালীপাহাড়ির কোল ঘেঁষে থাকা মা ঘাগর বুড়ি মন্দির লাগোয়া ঝর্ণাধারা মন ভোলাবে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম ও দুই বর্ধমান, রাঢ় বাংলার (West Bengal) এই পাঁচ জেলা নিয়ে পর্যটনের যে মহাবৃত্ত, সেখানে রয়েছে বীরভূমের পাঁচ সতীপীঠ, আছে বীরচন্দ্রপুরে শ্রীচৈতন্যের সাধন সহচর নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর জন্মস্থান। বীরভূমের (Birbhum, West Bengal) সতীপীঠগুলির সঙ্গে বক্রেশ্বর,তারাপীঠ ও শান্তিনিকেতন ছুঁয়ে দুটো দিন নিশ্চিন্ত আরামে কাটানো যায় মুকুটমণিপুরে। সেখান থেকে কয়েক ঘণ্টার জন্য পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়। নাম না জানা পাখির গান বা সাঁওতাল কিশোরীর অচেনা সুরের মূর্ছনায় ভেসে পাহাড়ের গায়ে সার বেঁধে থাকা অত্যাধুনিক রিসর্টের সবুজ নরম ঘাসে পা ডুবিয়ে হাঁটতে হাঁটতে অনির্বচনীয় আনন্দে হারিয়ে যাওয়া। মল্লরাজভূমি কাশীপুর অথবা বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের অসংখ্য মন্দিরগাত্রের দৃষ্টিনন্দন টেরাকোটার কাজ দেখলে খাজুরাহো বা অজন্তা-ইলোরায় যেতে না পারার আক্ষেপ অনেকটা দূর হয়ে যাবে। বিষ্ণুপুরের দেবী ছিন্নমস্তা মন্দির ঘিরে রয়েছে বিশ্বখ্যাত দলমাদল কামান, দশাবতার তাসের হাট, পোড়ামাটির ঘোড়া, বালুচরি শাড়ি, শঙ্খের অলঙ্কারের পসরা। এখান থেকে কয়েক ঘণ্টার পথ কামারপুকুর-জয়রামবাটি। পুজোসফরে যোগ করা যেতে পারে বর্ধমানের ১০৮ শিবমন্দির, রমনা বাগানের চিড়িয়াখানা। সেই সঙ্গে সীতাভোগ-মিহিদানা বা শক্তিগড়ের ল্যাংচা তো আছেই।
আরও দেখুন: আসানসোল ও বনগাঁয় উপনির্বাচন শান্তিতেই