প্রতিবেদন : ভারতীয় ফুটবলে সংকট কাটাতে ফিফার আইনকেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট। যে তৃতীয়পক্ষের হস্তক্ষেপে নির্বাসনের মুখে পড়তে হয়েছে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে, তিন সদস্যের সেই কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (সিওএ) আর থাকছে না। সিওএ-র ক্ষমতা কেড়ে নিল সর্বোচ্চ আদালত। ফলে ফিফার নির্বাসন তোলার পথে প্রথম ধাপ পেরোল ভারত। সুপ্রিম কোর্টের আশা, এবার হয়তো বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা ভারতীয় ফুটবলের উপর থেকে নির্বাসন তুলে নেবে এবং সফলভাবেই দেশের মাটিতে আয়োজিত হবে অনূর্ধ্ব ১৭ মহিলা বিশ্বকাপ। তবে সিওএ-র তৈরি খসড়া গঠনতন্ত্রকে পুরোপুরি বাতিল করেনি সর্বোচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন-আধার ও ভোটার কার্ড সংযুক্তি ঐচ্ছিক : কমিশন
ফেডারেশনের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২৮ অগাস্ট। সিওএ-কে সরিয়ে দিয়ে নির্বাচন এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হবে ভোট। নির্বাচন পরিচালনা করবেন বর্তমান রিটার্নিং অফিসারই। এআইএফএফ-এর দৈনন্দিন কাজকর্ম দেখবেন কার্যনির্বাহী সচিব। ভোটার তালিকাও সংশোধন হবে। ৩৬ জন সদস্যের ভোটার তালিকা তৈরি হবে। রাজ্য সংস্থার মনোনীত প্রার্থীরাই নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। কারণ, ফিফার আইন অনুযায়ী প্রাক্তন ফুটবলাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না। সিওএ-র নির্বাচনবিধি অনুযায়ী আগের মনোনয়নও বাতিল হচ্ছে। এই কারণে সভাপতি পদে বাইচুং ভুটিয়ার মনোনয়নও খারিজ হচ্ছে।
আরও পড়ুন-সরকার ফেলার হুমকি দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করছে বিজেপি
তবে বাইচুং বা প্রাক্তন ফুটবলাররা রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচনে লড়তে পারবেন। সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটিতে ২৩ জন সদস্য থাকতে পারবেন। তার মধ্যে ১৭ জন সদস্য সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জিতে আসবেন। আর বাকি ৬ জন প্রাক্তন ফুটবলার। তাঁদের মধ্যে চার জন পুরুষ এবং দু’জন মহিলা ফুটবলার। সোমবারই সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন বাইচুং। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক আবেদন করেন, প্রশাসনিক কমিটি বা সিওএ-র তৈরি করা নির্বাচনবিধিকেই মান্যতা দেওয়া হোক। কিন্তু আদালত সিওএ-র ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ায় বাইচুংয়ের আবেদনের আর কোনও যুক্তি রইল না। তবে এদিন বাইচুং শহরে একটি অনুষ্ঠানে বললেন, ফেডারেশনের গঠনতন্ত্রে ৩৬ জন প্রাক্তন ফুটবলারকেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন-কুৎসাই বিজেপির অস্ত্র
সিওএ-কে সরানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছিল কেন্দ্র। ফিফার সমস্ত দাবি মেনে নেওয়ার পাশাপাশি প্রফুল প্যাটেলের নেতৃত্বে থাকা দলকে ফেডারেশনের অংশ না করার আবেদনও জানিয়েছিল কেন্দ্র সরকার।