প্রতিবেদন : ২০২১ সাল থেকেই চলছে গেরুয়া শিবিরের (Bharatiya Janata Party/BJP) ভরাডুবি। বিধানসভা থেকে একের পর এক উপনির্বাচনে খাতা খুলতেই পারেনি বিজেপি। তার মধ্যে দলের সভাপতি পরিবর্তন এবং নানা উপদলে ভেঙে যাওয়া বিজেপির ভরসা এখন এজেন্সি। কিন্তু তাতেও বাংলার মানুষ যে ভুলছেন না, তা ৪৮ ঘণ্টা আগে নন্দীগ্রাম থেকে কাঁথি, হুগলির কৃষি সমবায় সমিতির নির্বাচনে প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। ধূলিসাৎ হয়েছে বিরোধী শিবির। এই অবস্থায় দলকে নতুন করে অক্সিজেন দিতে বাংলার গেরুয়া শিবির টানা ৩ দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করে ফেলেছে। আর সে নিয়েও বিতর্ক চরমে। এলাহি সব ব্যাপার-স্যাপার। মনে হবে যেন কোনও শিল্পপতির মেয়ের বিয়ে। সব মিলিয়ে রাজ্যের শ’দেড়েক প্রতিনিধি থাকবেন। প্রশিক্ষণ শিবির চলবে ২৯-৩১ অগাস্ট পর্যন্ত। দিল্লির প্রতিনিধি হিসেবে থাকবেন দলের সর্বভারতীয় নেতা বি এল সন্তোষ, রাজ্যের নয়া পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল এবং অমিত ‘ট্যুইট’ মালব্য। প্রশিক্ষণস্থল হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে বিলাসবহুল বৈদিক ভিলেজকে। প্রত্যেক প্রতিনিধির জন্য ঘর, স্পা, সুইমিংপুল, যেমন ইচ্ছে খাওয়া-দাওয়া-সহ অন্যান্য সুবিধা। দলের তরফেই হিসেব দিয়ে বলা হয়েছে সব মিলিয়ে ৩ দিনে খরচ গড়াবে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। কর্মীদের ধারণা, আরও ৩০-৪০ লক্ষ টাকা খরচের সম্ভাবনা প্রবল। ফলে ২ কোটি টাকা পেরিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: জোর করে পঞ্চায়েতে ভোট নয় : অভিষেক
বিজেপিতে (Bharatiya Janata Party/BJP) ব্যাপক কোন্দল : ২০১৬ সালে বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবির বসেছিল হলদিয়াতে। সেখানে আর পাঁচটি সম্মলনের মতোই ছিল ব্যবস্থাপনা। এবারের এই এলাহি হোটেল কালচারের বিরুদ্ধে দলের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, বৈদিক ভিলেজে প্রশিক্ষণ শিবির ডেকে কেন নতুন করে সমালোচনার সুযোগ দেওয়া হল?
দিলীপকে উপেক্ষা : বৈঠক চলাকালীন হেস্টিংসের অফিসের অন্য ঘরে থাকলেও যোগ দিলেন না দিলীপ ঘোষ। ট্যুইট মালব্য বৈঠক করলেন। আসলে দিলীপ যাতে বৈঠকে যোগ দিতে না পারেন তার জন্য বৈঠকের সময় দিলীপকে ভুল বলা হয়েছিল। প্রায় দেড় ঘণ্টা তাঁকে বসিয়ে রাখা হয়। পরে কোর কমিটির বৈঠকে তাঁকে ডেকে নেওয়া হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, নবান্ন অভিযানের দিন পরিবর্তন করে ১৩ অগাস্ট হবে। মালব্যর দাবি, ১৩ লক্ষ লোক হবে। সেই দাবি শুনে দলীয় নেতৃত্বই হাসছেন। বলছেন, মাটির সঙ্গে যোগাযোগ না থাকলে যা হয়। সেদিনের মিছিলে ১৩ হাজার লোক হলে বিজেপি ধন্য হয়ে যাবে। তার কারণ, বৈঠকে অনেকেই অনেক লোক আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যাঁদের ৫ জন আনার ক্ষমতা নেই, তাঁরা ৫০০ জনের হিসেব দিয়েছেন। সব মিলিয়ে ডামাডোলে বিজেপি পার্টিটাই এখন ক্লাব স্তরে নেমে এসেছে।