প্রতিবেদন : মনোনয়ন থেকে ভোটগ্রহণ পর্ব, আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে সবটাই যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় তার দায়িত্ব নিতে হবে জেলা নেতৃত্বকেই। দলের কোনও নেতার বিরুদ্ধে যেন একটাও অভিযোগ না ওঠে। কড়া বার্তা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, সাংগঠনিক শক্তি ও মানুষকে বুঝিয়ে তাঁদের মন জয় করেই পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে হবে, তাতে যদি কিছু আসনে ফলাফল আশানুরূপ না হয় তাতেও কোনও অসুবিধে নেই।
আরও পড়ুন-বিজেপি যোগ, ত্রিপুরা তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে অপসারিত সুবল ভৌমিক
মঙ্গলবার তমলুক, কাঁথি ও পশ্চিম বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে এভাবেই একগুচ্ছ গাইডলাইন দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুক ও কাঁথি সাংগঠনিক জেলার ক্ষেত্রে পঞ্চায়েতের পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে এখন থেকেই সাংগঠনিক কাজে জোর দেওয়ার নির্দেশ দলের।
আরও পড়ুন-ইউএস ওপেনে নেই সানিয়া, অবসর নিয়েও মত পরিবর্তন
মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি পশ্চিম বর্ধমান জেলার নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। মন্ত্রী মলয় ঘটক, বিধান উপাধ্যায়, হরেরাম সিংদের বলে দেওয়া হয়, আসানসোলে সাম্প্রতিক নির্বাচনে ফলাফল ভাল হয়েছে। তাকে মাথায় রেখে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে হবে। মানুষ যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে শাসক দল হিসেবে তা সুনিশ্চিত করতে হবে। জেলায় সকলকে নিয়ে চলতে হবে। যে যার মতো চলবে, তা হবে না। এখন থেকেই পঞ্চায়েতের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। মনোনয়ন পর্ব ও ভোটের দিন যাতে কোনওরকম অশান্তি না হয় দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসেবে জেলার নেতাদেরই তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন-পরিবেশবান্ধব পরিবহণই লক্ষ্য
এদিন তমলুক সাংগঠনিক জেলার নেতাদের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল বিকেল ৩টেয়। এই বৈঠকেও সৌমেন মহাপাত্র, ফিরোজা বিবিদের এখন থেকেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতিতে নেমে পড়তে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে দলের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দুটি লোকসভা আসনই জিততে হবে, পরিষ্কার বার্তা দলের।
আরও পড়ুন-দুবাই পৌঁছলেন রোহিতরা, এশিয়া কাপের আগে কোভিড আক্রান্ত দ্রাবিড়
এদিন সবশেষে বৈঠকে আসে কাঁথির সাংগঠনিক নেতৃত্ব। অখিল গিরি, সুপ্রকাশ গিরিদেরও নির্বিঘ্নে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার বার্তা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে লোকসভা নির্বাচনকেও মাথায় রাখতে বলা হয়েছে। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে আরও বেশি করে মানুষের কাছে যেতে বলা হয়েছে। অভিষেকের বার্তা, পঞ্চায়েত নির্বাচন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আসলে পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন, সেদিকে তাকিয়ে এখন থেকে সাংগঠনিক কাজ করতে হবে।