সিটিজেন রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট ইউনিট মূল লক্ষ্য, পাড়ায়-পাড়ায় সমাধান, বাংলা জুড়ে জনসংযোগ

সেক্ষেত্রে যাতে সামাজিক প্রকল্পগুলি পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ব্যবস্থা বজায় থাকে তার জন্যই এই বিশেষ উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে।

Must read

প্রতিবেদন : সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মানুষের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে এবার মানুষের দুয়ারে পৌঁছে যাচ্ছে প্রশাসন। এজন্য রাজ্য স্তর ও জেলায় জেলায় বিশেষ জনসংযোগ ইউনিট তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। ‘সিটিজেন রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট ইউনিট’ নামে এই বিভাগ সরাসরি সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে সরকারের কাজকর্ম ও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে তাঁদের মনোভাব, চাহিদা, অভাব- অভিযোগ এই সবেরই তত্ত্বতালাশ করবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চালু করেছে রাজ্য সরকার। এলাকায় গিয়ে তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনে তার নিষ্পত্তি করার জন্য পাড়ায় সমাধান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের নিজস্ব জনসংযোগ ইউনিট তৈরির এই ভাবনা এরই পরবর্তী ধাপ বলে প্রশাসনিক মহলের অভিমত।

আরও পড়ুন-সুষ্ঠু পঞ্চায়েত ভোটের দায়িত্ব জেলা নেতৃত্বের, পশ্চিম বর্ধমান, তমলুক, কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে অভিষেক

জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয়ভাবে ও জেলায় জেলায় এই ইউনিট তৈরির ব্যপারে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রস্তুত করা হচ্ছে। একজন দক্ষ আইএস অফিসারকে কেন্দ্রীয়ভাবে এই ইউনিটের দায়িত্বে রাখার কথা ভাবা হচ্ছে। জেলা থেকে ব্লক স্তরে আলাদা আলাদা ভাবে জনসংযোগ ইউনিট তৈরি করা হবে। সামগ্রিক ভাবে প্রশাসনের কাজকে স্বচ্ছ ও মসৃণ করে তোলার পাশাপাশি সরকারের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সংযোগকে আরও মজবুত করাই এর উদ্দেশ্য।

আরও পড়ুন-বিজেপি যোগ, ত্রিপুরা তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে অপসারিত সুবল ভৌমিক

মূলত সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষ কতটা পাচ্ছেন? অভিযোগ জানানোর পর আদৌ কাজ হচ্ছে কি না, সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতে সরকারি আধিকারিকরা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবেন। শুধু পৌঁছনোই নয়, সঙ্গে সঙ্গে যাতে সমাধানসূত্র বেরিয়ে যায় সেই বিষয়েও বিশেষভাবে উদ্যোগ নেবে এই ইউনিট। তবে গোটা ইউনিটে কীভাবে কাজ হবে, কী উপায়ে তাঁরা পরিচালনা করবেন, বিস্তারিত শীঘ্রই গাইডলাইন আকারে জেলাগুলিকে জানাতে পারে নবান্ন বলেই সূত্রের খবর। আগামী বছরের শুরুর দিকে এই রাজ্যে হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেও কয়েক দফা দুয়ারে সরকারের পরিকল্পনাও নিতে চলেছে রাজ্য।

আরও পড়ুন-ইউএস ওপেনে নেই সানিয়া, অবসর নিয়েও মত পরিবর্তন

সেক্ষেত্রে যাতে সামাজিক প্রকল্পগুলি পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ব্যবস্থা বজায় থাকে তার জন্যই এই বিশেষ উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর ১০০ দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে কড়া মনোভাব নিয়েছে। দুর্নীতি বা স্বজনপোষণ থাকলে এফআইআর করার পর্যন্ত নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যে পঞ্চায়েত দফতর। শুধু এখানেই ক্ষান্ত থাকেনি রাজ্য, প্রয়োজনে টাকা তোলারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সামগ্রিকভাবে প্রশাসনিক স্তরে যাতে কোনওরকম দুর্নীতি বা স্বজনপোষণ না থাকে তার জন্য একাধিক স্বচ্ছ ভাবনা নিয়ে আসতে চাইছে রাজ্য। তারই অঙ্গ হিসাবে এই নয়া ইউনিট তৈরির পরিকল্পনা নবান্নের।

Latest article