প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন-অভিযানে আমজনতার অটুট আস্থা আবারও প্রতিফলিত হল নির্বাচনী ফলাফলে। আসানসোল এবং বনগাঁয় পুরসভার উপনির্বাচনে (By Poll- TMC) সবুজঝড়ে উড়ে গেল বিরোধীরা। মুছে গেল গেরুয়া-শিবিরের বিন্দুমাত্র অস্তিত্বটুকুও। চুরমার হয়ে গেল লাল-শিবিরের ঘুরে দাঁড়ানোর দিবাস্বপ্ন। ধর্তব্যের মধ্যেই এল না কংগ্রেস। নির্বাচন হয়েছিল রবিবার। বুধবার গণনার শুরুতেই স্পষ্ট হয়ে গেল ছবিটা। প্রত্যাশিতভাবেই আসানসোলের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে রেকর্ড ভোটে জয় পেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিধান উপাধ্যায়। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থীকে তিনি পেছনে ফেলে দিয়েছেন ৫,৪৭৭ ভোটে। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, বিজেপি এখানে নেমে এসেছে তৃতীয় স্থানে। ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই আসানসোল পুরসভার নির্বাচিত মেয়রের স্বীকৃতি পেলেন বারাবনির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। অন্যদিকে, বনগাঁর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে প্রত্যাশিতভাবেই বড় মার্জিনে জয় পেলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পাপাই রাহা। পাপাই যেখানে পেয়েছেন ২,৮৪২ ভোট, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী সেখানে পেয়েছেন মাত্র ৭২৪টি ভোট। সিপিএম প্রার্থীর পক্ষে পড়েছে মাত্র ৩৩২ ভোট। আর কংগ্রেস প্রার্থী? সর্বসাকুল্যে ৫২টি ভোট জুটেছে তাঁর ভাগ্যে। তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর দিলীপ দাসের মৃত্যুতে শূন্য হয়েছিল এই আসন। গত পুরনির্বাচনে তিনি পেয়েছিলেন ১৩৬১টি ভোট। জয়ের ব্যবধান ছিল ৩৮৬ ভোটের। এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটের অঙ্ক শুধুমাত্র প্রায় দ্বিগুণই হয়নি, বেড়েছে জয়ের ব্যবধানও। আবার আসানসোলের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট এবারে রেকর্ড ছুঁয়েছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪টি বুথে মোট ১০,০০০ ভোটের মধ্যে বিধান উপাধ্যায় পেয়েছেন ৮৪৫৭টি ভোট। মোট ভোটের ৮২.৬৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাংলার শিল্পীদের কাজ কাড়ল বিজেপি সরকার
দু’টি কেন্দ্রেই গণনা শুরুর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যায় প্রত্যাশিত জয়ের বার্তা। সবুজ আবির (By Poll- TMC) উড়িয়ে মিষ্টিমুখে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকেরা মেতে ওঠেন বিজয়োল্লাসে।