প্রতিবেদন : বৃহস্পতিবার রাতে বাগদায় বাংলাদেশ সীমান্তের জিৎপুরে বর্বরোচিত ঘটনা বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স তথা বিএসএফের। অসহায় মা ও তার শিশুসন্তানকে একা পেয়ে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী নারকীয় ঘটনা ঘটায়। শিশুটিকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ২৩ বছরের ওই তরুণীকে টানা গণধর্ষণ চালায়। অত্যাচারে প্রাণ সংশয় হয় ওই তরুণীর। হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। পুলিশ এই ঘটনায় অভিযুক্ত বিএসএফের দুই জওয়ানকে গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন-চিকিৎসকের লক্ষ লক্ষ টাকা জালিয়াতি, টাকা সহ পাকড়াও তিন, সফল কলকাতা পুলিশ
তরুণীর স্বামী জিৎপুর থেকে প্রতিদিনই সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে কাজ করতে যেতেন। বৃহস্পতিবার রাত হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও তিনি না ফেরায় চিন্তা বাড়ে। এরপর ওই তরুণী স্বামীর খোঁজ নিতে সীমান্তে এলে বিএসএফ তাঁকে আটক করে এবং নিজেদের এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর কোলের সন্তানকে হাত থেকে কেড়ে নিয়ে ছুঁড়ে দেওয়া হয়। এরপর দুই বিএসএফ জওয়ান গণধর্ষণ করে তরুণীকে। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে। বাগদা থানায় অভিযোগ জমা পড়লে এএসআই এস পি চেরো এবং কনস্টেবল আলতাফ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। আজ বনগাঁ আদালতে তোলা হবে। এদের সঙ্গে আরও কেউ ঘটনায় যুক্ত ছিল কি না পুলিশ তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন-ওয়াঘা-আটারি সীমান্তে ঘুরে সেনা জওয়ানদের স্যালুট জানালেন তৃণমূল বিধায়ক
জানা গিয়েছে, এই দুই বিএসএফ জওয়ান ৬৮ নম্বর ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিল। এদের বিরুদ্ধে বাগদা থানা ৩৭৬ (২)(সি)/ ৩৭৬ (ডি) ধারায় মামলা রুজু করেছে। ইতিমধ্যে তরুণীর মেডিক্যাল টেস্ট হয়েছে। শনিবার আদালতে সেই মেডিক্যাল রিপোর্ট পেশ করা হবে।
সীমান্তে বিএসএফের নানা কাজ নিয়ে মানুষের অভিযোগ রয়েছে। সীমান্ত পারাপারে বিএসএফ জওয়ানদের বিতর্কিত ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যে সব মহলে চর্চা। অনুপ্রবেশের মূল কারণ হিসেবে বারেবারেই বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনা আর একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল সীমান্তে বিএসএফের আসল চেহারা। এই ঘটনা সামনে আসায় অপরাধীদের শনাক্ত করা গিয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই লজ্জায় মুখ খুলতে না চাওয়ায় বিএসএফের কুকীর্তি প্রকাশ্যে আসে না। বনগাঁ জেলা পুলিশ সুপার তরুণ হালদার জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মহিলার জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়েছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যথাযোগ্য শাস্তি পাবে অপরাধীরা।