প্রতিবেদন : পুজোর (Durga Puja 2022) কাউন্টডাউন শুরু। মণ্ডপের পাশাপাশি এবার বিশেষ চমক আলোর। দর্শকদের উপহার দিতে নতুন থিমে নতুন ভাবনায় জোরকদমে কাজ শুরু করে দিয়েছেন আলোকশিল্পীরা। পুরাণ, ইতিহাস, বিজ্ঞান থেকে সাম্প্রতিক ঘটনা সবকিছুই আলোকসজ্জার কারিকুরিতে ফুটিয়ে তোলেন তাঁরা। কোভিডের কারণে দু’বছর প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছিল এই শিল্প। এবছর আবার নতুন উদ্যমে কাজ এগোচ্ছে। চন্দননগরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে আলোকশিল্পীদের কর্মক্ষেত্র। এবছরের আলোকসজ্জার প্রস্তুতি নিয়ে চন্দননগরের চাঁপাতলা এলাকার আলোকশিল্পী বাবু পাল জানালেন, এবার কলকাতার শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব এবং পার্ক স্ট্রিটে আলোকসজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। এছাড়া উনি জেলাতেও কয়েকটি পুজোর আলোর কাজ করছেন। বেলডাঙা এবং রানাঘাটের পুজোয় বাবু পালের আলোকসজ্জা দেখবেন দর্শনার্থীরা। বিগত দু’বছর ধরে কোভিডের কারণে চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রা বন্ধ রাখা হয়েছিল। ফলত কোনও লাইট তৈরি হয়নি নতুন করে। নচেৎ জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় থেকেই জগদ্ধাত্রী পুজোর আলোকসজ্জার প্রস্তুতির সঙ্গেই কলকাতার দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2022) আলোকসজ্জার পরিকল্পনা করে ফেলেন আলোকশিল্পীরা। ওখানকার জনপ্রিয় থিমের আলোকসজ্জা কখনও সখনও কলকাতার পুজোতেও ব্যবহার করতে চান দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তারা। তবে এবছর সবটাই নতুন করে তৈরি করছেন তাঁরা। শ্রীভূমিতে এবছরের থিম ভ্যাটিকান সিটি। সেই থিমের ওপর ভিত্তি করে গেট তৈরি হবে এবং বাকি আলোকসজ্জা শিল্পী এবং উদ্যোক্তাদের মিলিত পছন্দের উপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়। দুর্গাপুজোর সময় পার্ক স্ট্রিট আলো দিয়ে সাজাবেন শিল্পী বাবু পাল। বেলডাঙা আর রানাঘাটে দুটি পুজোয় সিলিং লাইট করছেন শিল্পী। থিম এখানে কিছু নেই কিন্তু নানাধরনের গেট দিয়ে আর আলো দিয়ে সাজানো হবে। এখানে মেকানিক্যাল লাইটিংয়ের খুব চাহিদা অর্থাৎ যে আলোকসজ্জায় স্ট্রাকচারগুলো নড়ে চড়ে। এছাড়া বোর্ডের আলো দিয়েও সাজানো হবে।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার মেধাস্বত্ব চুরির অভিযোগে ফাইজারের বিরুদ্ধে মামলা মডার্নার