দিল্লির নেতাদের সঙ্গ দিয়ে বাংলাবিরোধী ষড়যন্ত্রে অংশীদার হওয়া শুভেন্দু অধিকারী (Shuvendu Adhikari), সুকান্ত মজুমদার (Sukanta majumdar), দিলীপ ঘোষদের (Dilip Ghosh) বেইমান, গদ্দার, গুণ্ডা বলে TMCP প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তোপ দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (TMCP- Abhishek Banerjee)। একদিকে ইডি-সিবিআইকে (ED-CBI) হাতিয়ার করে বাংলায় বিজেপির (BJP) রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, অন্যদিকে রাজ্যের উন্নয়নে বাধা দিতে আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে দেওয়া। নির্বাচনী লড়াইয়ে হেরে গায়ের জ্বালা মেটাতে রাজ্যের বিরুদ্ধে বিজেপির এহেন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রদীপ মুখোপাধ্যায়, শোক প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
সোমবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে মেয়ো রোডে তৃণমূলের জনসভায় উপস্থিত হয়ে বিজেপিকে তুলোধনা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (TMCP- Abhishek Banerjee)। তিনি বলেন, “মমতার সঙ্গে লড়ার আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল যুবর সঙ্গে লড়াইয়ে নামুন। ১০ গোল দেব বাম-বিজেপি-সিপিএমকে।” এরপরই তিনি বলেন, “আপনারা দেখেছেন গোটা দেশে কেউ বিজেপিকে হারাতে পারছিল না। অশ্বমেধের ঘোড়া হয়ে উঠেছিল ওরা। আর এই ঘোড়াকে যে আটকেছে তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় লড়াই করতে এসে মুখ থুবড়ে পড়েছে ওরা। একজন মহিলার পা ভেঙেছে, তারপরও দেগঙ্গা থেকে দার্জিলিং ছুটেছেন তিনি। ২০০-র বেশি আসন নিয়ে ফের ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। বাংলার মানুষ ওদের হারিয়েছে বলে গায়ে এত জ্বালা।” এরপরই শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদারদের তোপ দেগে অভিষেক বলেন, “ওরা বলছে আমরা রাজ্যের টাকা আটকে দিয়েছি। বিজেপি তোমরা চাও না মাংলার মানুষ ঘর পাক, ১০০ দিনের কাজ হোক, রাস্তা তৈরি হোক। তাই টাকা আটকে এত গর্ব।” এরপরই বিজেপি নেতাদের নাম ধরে ধরে অভিষেক বলেন, “আমি নাম নিয়ে বলছি, বেইমান-গদ্দার শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার। দিলীপ ঘোষ গুণ্ডা। এরা চায় বাংলাকে অশান্ত করতে। ক্ষমতা থাকলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করো।” একইসঙ্গে তিনি যোগ করেন, “আমার নাম নিয়ে ওরা কিছু বলে না। ক্ষমতা থাকলে বলো ‘তোলাবাজ অভিষেক’। সোজা হাইকোর্টে নিয়ে যাব।”
এর পাশাপাশি এত বড় সমাবেশের পর ফের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা প্রকাশ করে অভিষেক বলেন, “২১ জুলাই বাংলায় সর্বকালীন রেকর্ড জনসমাবেশের পর ২২ জুলাই পার্থর বাড়িতে গেল ইডি। আজ এত বড় সমাবেশ, আশঙ্কা ৪-৫ দিনের মধ্যে বড় কিছু হবে। আসলে রাজনৈতিকভাবে লড়তে পারে না এরা। তাই ইডি-সিবিআইকে হাতিয়ার করে প্রতিহিংসার রাজনীতি করে। আমি অন্য ধাতুতে তৈরি, মানুষের সামনে মাথা নত করব, দিল্লির জল্লাদদের কাছে নয়।”