প্রতিবেদনঃ বিপজ্জনক অবস্থা মহম্মদ আলি পার্কের জলাধারের। অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। তাই আর ঝুঁকি নিতে রাজি নয় কলকাতা পুরসভা। বিকল্প হিসেবে মার্কাস স্কোয়ারে একটি বিকল্প বুস্টার পাম্পিং স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দৈনিক ৪০ লক্ষ গ্যালন পরিশোধিত পানীয় জল সরাবরাহ করবে এই বুস্টার স্টেশন। একই সঙ্গে এখানে তৈরি করা হবে একটি বৃহৎ জলাধারও। ডিপিআর বা বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্টের কাজ শেষ পর্যায়ে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষের জলের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে খুব সহজেই।
আরও পড়ুন-বেআইনি নির্মাণ রুখতে শহরে বিশেষ নজরদারি দল
মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, এরপরেই মহম্মদ আলি পার্কের জলাধারের ভবিষ্যৎ নিয়ে নেওয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। সাবেককাল থেকেই মহম্মদ আলি পার্কের জলাধারের উপরেই একান্তভাবে নির্ভরশীল মধ্য কলকাতার একটি বড় অংশের মানুষ। কিন্তু ব্রিটিশ আমলে তৈরি এই আন্ডারগ্রাউন্ড রিজার্ভারের অবস্থা এখন এতটাই খারাপ যে খুব সামান্য ভারবহনেও অক্ষম এটি। একাধিক বিপজ্জনক ফাটল এখন বিশেষজ্ঞদের অত্যন্ত দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্ঘটনার আশঙ্কা যে কোনও মুহূর্তেই। নিছক মেরামতিতে এই সমস্যা মিটবে কিনা তা জোর দিয়ে বলতে পারছেন না অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়াররাও।
আরও পড়ুন-রোগী চিহ্নিত করবেন আশা কর্মীরা
পুজোর আয়োজনেও পড়েছে যার অবশ্যম্ভাবী প্রভাব। মানুষের বেশি ভিড় সহ্য করার ক্ষমতা হারিয়েছে এই রিজার্ভার। তাই আর এতটুকু সময় নষ্ট করতে রাজি নয় পুরসভা। বিকল্পের খোঁজে বেছে নেওয়া হয়েছে মধ্য কলকাতারই মার্কাস স্কোয়ারকে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কলেজ স্ট্রিট, বউবাজার, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, জোড়াসাঁকো, মহাত্মা গান্ধী রোড, কেশব সেন স্ট্রিট, আমহার্স্ট স্ট্রিট সহ মধ্য কলকাতার বহু অঞ্চলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জল সরবরাহ করা সম্ভব হবে।