সংবাদদাতা, কুলপি : গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার বিজেপি। দলের শীর্ষনেতৃত্ব একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করছে। আর তার জেরেই নিচুতলার নেতাদের কোন্দল গড়াল হাতাহাতিতে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির রামকৃষ্ণপুরে। রবিবার দুপুরে। বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে দলের জেলা সভাপতি প্রদ্যোত বৈদ্য ও রাজ্য কমিটির সদস্য কৃত্তিবাস সর্দারের মধ্যে হাতাহাতি, কিলঘুসিতে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল। প্রায় মিনিট পনেরো কার্যালয়ের ভেতরে চলে তাণ্ডব।
আরও পড়ুন-শিল্পীদের হাতে বিক্রির টাকা তুলে দিল পুরসভা
দুই নেতারই জামা ও পাঞ্জাবি ছিঁড়ে যায়। দুজনকে ছাড়াতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় কর্মী- সমর্থকদের। মারপিটের রেশ ধরে দলীয় কার্যালয়ে চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করে একদল বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থক। সবমিলিয়ে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। খবর যায় কুলপি থানায়। পুলিশ এসে প্রদ্যোত বৈদ্যকে নিরাপদে পৌঁছে দেয়। বিজেপির প্রকাশ্যে চলে-আসা গোষ্ঠীকোন্দল নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব ঘটনাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। এদিন জেলার সাংগঠনিক বৈঠক ছিল। বৈঠক শুরুর আগে কাকদ্বীপ, সাগর, কুলপি, মন্দিরবাজার থেকে দলের পতাকা হাতে বেশ কিছু কর্মী-সমর্থক জড়ো হন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
বেলা ২টো নাগাদ সভাপতি প্রদ্যোত বৈদ্য কার্যালয়ে ঢুকতেই বিক্ষুব্ধ কর্মীরা বাইরে সভাপতির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। কার্যালয়ের গেটে তালাও লাগিয়ে দেয়। এই সময় দলের জেলা কমিটির সদস্য কৃত্তিবাস সর্দার হাজির হলে শুরু হয় বচসা। ক্রমে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কিছুক্ষণের মধ্যে দুজনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। চলতে থাকে কিল, চড়, ঘুসি। কর্মীরা ছাড়ানোর চেষ্টা করেন। কৃত্তিবাস বলেন, ‘জেলা সভাপতি টাকার হিসাব দেন না। বিষয়টি নিয়ে আমরা আগেই অভিযোগ করেছিলাম। আমাকে তুই-তুকারি করে মারধর করল। বিষয়টি রাজ্য কমিটিকে জানাব।’ জেলা সভাপতি প্রদ্যোত সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে যান।