প্রতিবেদন: চলতি বছরে বর্ষার মরশুমে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে পাকিস্তানে। অস্বাভাবিক বৃষ্টির কারণে ভয়ঙ্কর বন্যার সাক্ষী হয়েছে পাকিস্তান। পাক বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, চলতি বর্ষার মর মরশুমে বন্যায় রবিবার পর্যন্ত ১২৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ শিশু। যদিও বেসরকারি মতে মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
আরও পড়ুন-পুলিশের ম্যারাথন দৌড়
শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের। যার মধ্যে ২৫টি শিশু। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৩৩ লক্ষ মানুষ। দেশের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি এলাকা সম্পূর্ণ জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। নষ্ট হয়েছে হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল। মারা গিয়েছে কয়েক হাজার গবাদি পশু। ইতিমধ্যেই সে দেশে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম মানুষের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইসলামাবাদ আন্তর্জাতিক মহলের কাছে সাহায্যের আরজি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন-শিক্ষক দিবস উপলক্ষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন
পাক সরকার এবং বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা উদ্ধারকার্য চালালেও প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে এখনও বহু দুর্গত মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা যায়নি। প্রশাসন জানিয়েছে, বালুচিস্তান, দক্ষিণ সিন্ধু এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায় সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সিন্ধু নদীতে ডুবে মারা গিয়েছেন প্রায় ১৮০ জন মানুষ। তিন লক্ষেরও বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ১৮ হাজার স্কুলবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, পাকিস্তানের ৩০ লক্ষ শিশু জলবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনায় ভুগছে। জরুরি ভিত্তিতে তাদের চিকিৎসার প্রয়োজন। দুর্গতদের উদ্ধার করার জন্য ফ্রান্স থেকে পাঠানো হয়েছে বিশেষ বিমান।