প্রতিবেদন : এবার বেসরকারি হাতে যাচ্ছে কলকাতা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিমানবন্দর থেকে প্রত্যাহার করা নেওয়া হচ্ছে সিআইএসএফকে। শুধু তাই নয়, সিআইএসএফের তিন হাজার পদও তুলে দিতে চলেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে ফের বিমানবন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর জায়গার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। শুধু কলকাতা বিমানবন্দরই নয়, দেশের অন্যান্য বিমানবন্দরগুলির নিরাপত্তা থেকেও সিআইএসএফকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-চলতি মাসে বিধানসভায় আসছে একাধিক বিল
জানা গিয়েছে, এখনই পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না। নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে থাকা কিছু কিছু কাজ বেসরকারি এজেন্সির হাতে তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু যেসব জায়গাগুলি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সেগুলির দায়িত্ব সিআইএসএফের মতো কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতেই থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কম স্পর্শকাতর জায়গাগুলির দায়িত্ব এবার তুলে দেওয়া হবে বেসরকারি নিরাপত্তা এজেন্সির হাতে। ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন-প্রতিশ্রুতি দিয়েও চলল না ট্রেন, প্রতিবাদে অবরোধ
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক যৌথভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের অধীনস্থ ব্যুরো অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি বা বিসিএএস ও সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স বা সিআইএসএফ এবার যৌথভাবে দেশের ৫০টি বিমানবন্দরে এই পরিকল্পনা ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত করবে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার পথে সিআইএসএফের মোট ৩০৪৯টি পদ অবলুপ্ত হবে। তার পরিবর্তে ১,৯২৪টি পদে বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের নিয়োগ করা হবে বলেই জানানো হয়েছে।