“বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যালটে বদলা নেব পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে।” বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সাংগঠনিক অধিবেশন থেকে আরও একবার বার্তা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি বলেন, গা-জোয়ারি করে ভোট নয়, গণতান্ত্রিক ভাবে মানুষের ভালোবাসায় অবাধ শান্তিপূর্ণ ভোটের মাধ্যমে বিজেপিকে যোগ্য জবাব দিতে হবে। একইসঙ্গে ইডি সিবিআই লাগিয়ে বিজেপির রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কাছে তৃণমূল(TMC) যে মাথা নত করবে না সে কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
এদিনের সভার শুরুতেই অভিষেক (Abhishek Banerjee) বলেন, “নেতাজি ইন্ডোরে এর আগেও অনেক সভা হয়েছে। তবে আজকের সভা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এটাই প্রমাণ করে তৃণমূলকে যত আঘাত করা হবে তৃণমূল তত শক্তিশালী হবে।” এর পাশাপাশি লাগাতার তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, একুশের নির্বাচনে হারের পর থেকে বাংলায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বিজেপি। ইডি-সিবিআই লাগিয়ে তৃণমূল নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, বাংলার উন্নয়ন আটকাতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকেও অ্যাটাচ করা হয়েছিল। পাশাপাশি সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, “গোটা দেশে একমাত্র রাজনৈতিক দল তৃণমূল যে মাথা উচু করে লড়াই করছে। মাথানত করতে হলে সাধারণ মানুষের কাছে করব, জল্লাদদের কাছে নয়। আজ বিজেপির জল্লাদ ও সিপিএমের হার্মাদ এক হয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যারা তৃণমূলকে আক্রমণ করছে তাঁদের বলব, সিপিএম্র বিরুদ্ধে লড়াই করে আমরা বদল এনেছি। বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যালটে বদলা নেব পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে।”
আরও পড়ুন: সাংগঠনিক অধিবেশন থেকে লড়াইয়ের সুর বাধলেন, কী বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো
এর পাশাপাশি দলের নেতাকর্মীদের বার্তা দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা যা বলেছি তাই করেছি। একুশের নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন। ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভান্ডার চালু হবে। আজ বাংলার সব মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডার পাচ্ছেন।” সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা পরামর্শ দেবেন সেটা হৃদয়ে ঢুকিয়ে নিয়ে বুথে বাস্তবায়ন করতে হবে বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “যা ইচ্ছা তাই করব, এই জিনিস এখন বন্ধ হয়েছে। এই দলে কোনও লবি নেই একটাই লবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লবি। তৃণমূলে ২ নম্বর ৩ নম্বর বলে কিছু নেই একটাই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচন ও ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে ভোট হবে অবাধ ও শান্তিপুর্ণ। গণতান্ত্রিক পথে বিজেপিকে ল্যাজে গোবরে করে হারাতে হবে।” একইসঙ্গে দিলীপ ঘোষের ‘বস্তির পার্টি’ কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিয়ে অভিষেক বলেন, “হ্যাঁ দিলীপ বাবু তৃণমূল খেটে খাওয়া মানুষের পার্টি, বস্তির পার্টি। এটা আমাদের কাছে লজ্জার নয় বরং সম্মানের। আজ রাজনৈতিক ভাবে লড়তে না পেরে বাংলার মানুষকে অপমান করছে ওরা।”
এছাড়াও দুর্গাপুজো প্রসঙ্গে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানাতে ছড়েননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “একটা সময় ওরা বলেছিল বাংলায় দুর্গাপুজো হয় না। আজ দেখো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ইউনেস্কো বাংলাকে সম্মান দিয়েছে, বিশ্বদরবারে বাংলার দুর্গাপুজো বন্দিত। ওদেরকে বলব, তোমরা যত কুৎসা করবে তত গর্তে ঢুকবে। দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিকে ২৫০ কোটি টাকা কেন দেওয়া হবে ওরা প্রশ্ন করছে। টাকা কেন দেবে না? তোমরা ৩০০০ কোটি টাকা দিয়ে মূর্তি গড়তে পারো, হাজার কোটির প্লেন কেনো, আর দুর্গাপুজোয় টাকা দেবে না কেন?”