রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়
আমার বয়স ৮০। আমার লেখালিখির বয়স ৫০। সেই সময় থেকেই আমি বিভিন্ন পুজো সংখ্যায় লিখছি। তখন অবশ্য এত পুজো সংখ্যা বেরোত না। হাতে গোনা কয়েকটা বেরোত। তার মধ্যে দু-একটায় লিখতাম। ধীরে ধীরে সংখ্যাটা বেড়েছে। এবার পুজোয় লিখেছি বেশ কয়েকটি পত্রিকায়। বিভিন্ন ধরনের লেখা। একটি পত্রিকায় লিখেছি কবি অতুলপ্রসাদ সেনের বৈচিত্র্যময় জীবন নিয়ে। আরেকটি বড় গদ্য লিখেছি গৌরকিশোর ঘোষকে নিয়ে। এই বছর তাঁর জন্মশতবর্ষ। উনি ছিলেন আমার শিক্ষাগুরু। ওঁর কাছেই নিয়েছিলাম সাংবাদিকতার পাঠ। উনি শিখিয়েছিলেন, মডার্ন জার্নালিজম কীরকম হওয়া উচিত। লেখায় উঠে এসেছে সমস্তকিছু। পাশাপাশি লিখেছি একটি উপন্যাস। নাম ‘তুমি যখন রবীন্দ্র সংগীত’। এ-ছাড়াও লিখেছি বেশ কিছু ছোট-বড় গদ্য।
আরও পড়ুন-শিকাগো জয়ের দিনলিপি
বাণী বসু
বহুদিন ধরেই আমি বিভিন্ন পুজো সংখ্যায় লিখছি। মূলত উপন্যাস এবং ছোট গল্প। এবার পুজোয় উপন্যাস লিখেছি একটাই। একটি দৈনিকের পুজো সংখ্যায়। উপন্যাসের নাম ‘আদি সংবাদ’। বিষয়টা একটু অন্যরকম। মানুষের প্রথম জন্ম নেওয়ার সময়টাকে একটু কল্পনা করার চেষ্টা করেছি। মূলত আমাদের পুরাণের আলোকে। পাশাপাশি লিখেছি বেশ কয়েকটি ছোট গল্প এবং কবিতা।
আরও পড়ুন-মেরিন ড্রাইভ জলমগ্ন
নবকুমার বসু
বিগত চল্লিশ বছরে ধরে পুজো সংখ্যার লেখা লিখে আসছি। মূলত ছোট অথবা বড়গল্প লেখারই ডাক পেয়েছি প্রথম দিকে। অধিকাংশ সাহিত্য-নির্ভর ছোট পত্রিকা থেকে। বড় অথবা বাণিজ্যিক পত্রিকার ডাক এসেছে আরও পরে। মোটামুটি দুই দশক ধরে বড়, মাঝারি ও তথাকথিত ছোট পত্রিকার শারদসংখ্যায় নিয়মিত উপন্যাস ও গল্প লিখি।
এই বছর পূর্ণাঙ্গ দুটি উপন্যাস লিখেছি দুটি পরিচিত পত্রিকার পুজোসংখ্যায়। দু’টি বড় গল্প লিখেছি বড় কাগজের জন্য। চারটি কিশোর গল্পও। তা ছাড়া আমার খুব প্রিয় এবং নিজস্ব ভাবনা অবলম্বনে চারটি সাহিত্য-নির্ভর প্রবন্ধও লিখেছি। এর সব ক’টাই আমার দূর থেকে বাংলাসাহিত্য ও তার পরিমণ্ডলকে খুঁটিয়ে দেখার প্রতিফলন। বিশেষ করে, পুজোর সময় গল্প-উপন্যাস রচনা ছাড়া, একটু মনের কথা বলতেও তো ইচ্ছে করে!
হ্যাঁ, আমি একমাত্র পূর্ণসময়ের প্রবাসী বাঙালি লেখক ও ভাষাকর্মী। তাই আমার অনেক লেখাতেই দেশ ও বিদেশের নানান মানুষ, বিষয়, প্রকৃতি ও পরিবেশ খুব স্বাভাবিকভাবেই উঠে আসে নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে। বলা উচিত পরিচিত ভৌগলিক সীমানার বাইরে। পুজোসংখ্যার পরে এই মুহূর্তে দীপাবলি বিশেষ সংখ্যার লেখাও শুরু করেছি।
আরও পড়ুন-শান্ত বাংলাকে অশান্ত করতে চাইছে বাম-বিজেপি
শ্যামলকান্তি দাশ
আমি দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন পুজো সংখ্যায় লিখছি। মূলত ছড়া এবং কবিতা। এর বাইরে যে কখনও কিছু লিখিনি তা নয়। গল্প লিখেছি কোনও কোনও সময়। এই বছর লেখালেখির পুরোটাই ছড়া ও কবিতা ঘিরে। ছোটদের এবং বড়দের জন্য। ছড়া লিখেছি বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক পত্রিকা এবং লিটিল ম্যাগাজিনে। পাশাপাশি কিছু সংকলনেও। লিখেছি ছোটদের জন্য দীর্ঘ ছড়া। বড়দের কবিতাও লিখেছি অনেকগুলোই। লিটিল ম্যাগাজিন এবং বাণিজ্যিক পত্রিকায়। দীর্ঘদিন ধরে একটি পত্রিকার সম্পাদনা করে চলেছি। নাম ‘কবি সম্মেলন’। কিছুদিনের মধ্যেই বেরোবে সেই পত্রিকার শারদীয়া সংখ্যা। লেখালেখির পাশাপাশি ব্যস্ত থাকতে হয়েছে সম্পাদনার কাজেও।