শান্ত বাংলাকে অশান্ত করতে চাইছে বাম-বিজেপি

Must read

সংবাদদাতা, হাওড়া : শুক্রবার গভীর রাতে নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত হলেন আমতার প্রয়াত ছাত্র আনিস খানের খুড়তুতো ভাই সলমন খান। রাত ১টা নাগাদ একদল দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢুকে সলমনকে কোপায়। যদিও তাঁর স্ত্রী হোসেনারা খাতুন একজনও চিনতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। তবুও এই ঘটনাকে ঘিরে ফের অশান্তি ছড়ানোর ছক কষছে সিপিএম ও বিজেপি (CPIM- BJP)। যদিও তৃণমূলের হাওড়া জেলা (গ্রামীণ) সভাপতি ও বিধায়ক রাজা সেন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘এই ঘটনাকে ঘিরে মিথ্যে রাজনীতি করে প্রচারের আলোয় থাকতে চাইছে সিপিএম ও বিজেপি (CPIM- BJP)। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগসূত্র নেই। এর সঙ্গে রাজনীতির বিন্দুমাত্র যোগ নেই। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি দীর্ঘদিন ধরে ওদের একটা পারিবারিক বিবাদ রয়েছে। সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও এই ঘটনা ঘটতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনার তদন্ত চলছে। এই অবস্থায় আনিস খানের খুড়তুতো ভাইকে মারধর করে বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার মতো বোকা নয় তৃণমূলের কর্মীরা। প্রচারের আলোয় থাকতেই সিপিএম ও বিজেপি এই ঘটনাকে নিয়ে মিথ্যে রাজনীতি করছে।’ এর পাশাপাশি সলমনের স্ত্রী হোসেনারা হামলাকারীদের চিনতে না পারলেও তাঁদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে থাকা আনিসের নিজের দাদা সাবির খান জানান, ‘যারা সলমনের ওপর হামলা চালিয়েছে তাদের সবাইকে চেনা গেছে। পুলিশের কাছে ঠিক সময়ে তাদের সকলের পরিচয় দেওয়া হবে।’ কিন্তু সলমনের বাড়িতে থেকেও যেখানে তাঁর স্ত্রী দুষ্কৃতীদের চিনতে পারেননি বলে জানিয়েছেন সেখানে সলমনদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে বাড়ি হওয়া সত্ত্বেও আনিসের দাদা কী করে দুষ্কৃতীদের চিনতে পারা গেছে বলে জানালেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রসঙ্গে রাজা সেন বলেন, ‘ওদের পরিবারের সদস্যদের দুরকম বক্তব্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে পুরোটাই সিপিএম ও বিজেপির চক্রান্ত।’ হাওড়া জেলার (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার স্বাতী ভাঙ্গালিয়া জানান, ‘ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনই বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না। সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

আরও পড়ুন-ক্রীড়া দফতরের সাহায্য চায় পরিবার

Latest article