সংবাদদাতা, শীতলকুচি : উত্তরে পায়ের তলার মাটি হারাচ্ছে বিজেপি। তলানি থেকে উঠে আসতে মরিয়া পদ্মশিবির তাই আশ্রয় নিয়েছে হিংসার রাজনীতির। মিছিলের নামে শান্ত পরিবেশে অশান্ত করছে। পুলিশকে হেনস্তা, বোমাবজি করে রবিবার শীতলকুচির (Shitalkuchi) বিষ্ণুপুরের মিছিলে বর্বরতার উদাহরণ তুলে ধরল বঙ্গবিজেপি। যার জেরে মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল এলাকা। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য আগুনে ঘি ঢেলে দিল। সরাসরি বাঁশের দাওয়াই দিলেন তিনি। তাঁর মন্তব্য, ‘এবার আমরা খালি হাতে যাব না। কাঁচা বাঁশ নিয়ে যাব। এখন থেকে বাঁশ কেটে রাখুন। বাঁশ যেন শুকিয়ে না যায়। মারলে যেন গায়ে দাগ পড়ে যায়।’ আর এই মন্তব্য ঘিরেই রাজনৈতিক মহলে সামালোচনার ঝড়। এলাকায় (Shitalkuchi) যখন ধুন্ধুমার, আক্রান্ত সাধারণ মানুষ তখন বিজেপি নেতার এই হিংসাত্মক মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করছেন সকলেই। রাজনৈতিক মহল বলছে, তাদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, ভাঁওতাবাজি মানুষ ধরে ফেলেছে। বিপরীতে তৃণমূল কংগ্রেসের উন্নয়নের জোয়ার ছড়িয়ে পড়ছে দিকে দিকে। হাসছে চা-বলয়। আইএনটিটিইউসির উদ্যোগে চা-শ্রমিক ইউনিয়নগুলিকে এক ছাতার তলায় এনে চলছে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ। এই গতিকে আরও তরান্বিত করতে শ্রমিকদের মাঝে পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের তলানি থেকে তুলে আনতে নোংরা রাজনীতির খেলায় নেমেছে বিজেপি। মিছিলের নামে শান্তি বিঘ্নিত করছে। খেই হারিয়ে অসংলগ্ন কথা বলেছেন বিজেপির নেতারা। এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার শীতলকুচি মার্কেট কমপ্লেক্স থেকে বিজেপির সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত করবে তৃণমূল কংগ্রেস। এই প্রতিবাদ মিছিলকে নেতৃত্ব দেবেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। এ-বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের শীতলকুচি ব্লক সভাপতি তপন গুহ বলেন বিজেপির হিংসার রাজনীতির জবাব দেবে সাধারণ মানুষ।
পদ্মনেতার উসকানি, পুলিশকে হেনস্তা, বোমাবাজি, রণক্ষেত্র শীতলকুচি
শান্তি বিঘ্নিত করতে বিজেপির বর্বরতা