সংবাদদাতা, হাওড়া : ডেঙ্গু মোকাবিলায় বালির আকাশে উড়ল ড্রোন। এই ড্রোনের সাহায্যে বালি পুর এলাকায় নজরদারি চালানো হচ্ছে। কোন কোন জায়গায় জল জমে রয়েছে তা এই ড্রোনের মাধ্যমেই দেখা হচ্ছে। এমনকী যেসব জায়গায় যাতায়াত কম সেখানেও ড্রোনের মাধ্যমে পরিস্থিতি খতিয়ে হচ্ছে। বহুতলের ওপরে কোন জায়গায় জল জমে রয়েছে সেটাও এখন ড্রোনের মাধ্যমে দেখা হচ্ছে। এইভাবে বালি পুর এলাকার সমগ্র অঞ্চলই ড্রোনের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-ডেঙ্গু মোকাবিলায় অভিনব উদ্যোগ উত্তর ২৪ পরগনায়
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি শুরু করার পাশাপাশি ডেঙ্গু দমন নিয়ে বালির রবীন্দ্রভবনে একটি প্রশাসনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ডাঃ রাণা চট্টোপাধ্যায়, জেলাশাসক মুক্তা আর্য, মহকুমাশাসক তথা বালির পুর প্রশাসক তরুণ ভট্টাচার্য-সহ এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলররা। ছিলেন পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরাও। বৈঠকে আরও সক্রিয়ভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। প্রত্যেক প্রাক্তন কাউন্সিলরকে এই ব্যাপারে আরও সক্রিয় হতে বলা হয়। বৈঠকের পরই সোমবার বালির ১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর পল্টু বণিক এলাকার সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মী নিয়ে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন-প্রতিমাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে জমিদারবাড়ির পুজো
পুরকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ি বাড়ি মানুষকে ডেঙ্গু নিয়ে সচেতন করতেও শুরু করেন তিনি। এর পাশাপাশি আইএমএ’র বালি-বেলুড়-লিলুয়া শাখার চিকিৎসকরা এই বিষয়ে বিনামূল্যে টেলিমিডিসিন পরিষেবা চালু করেছেন। ওই এলাকার ডাক্তারবাবুদের ফোন নাম্বার সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ছড়িয়ে জ্বর-সংক্রান্ত যেকোনও বিষয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এলাকার বিধায়ক ডাঃ রাণা চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। মানুষকে সবসময় বলা হচ্ছে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জল জমতে না দেওয়া, নিজেদের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও জ্বর হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রক্ত পরীক্ষা করানো— মূলত এই তিনটি বিষয়ের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। এই জন্য মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সচেতনতার পাঠ দেওয়া হচ্ছে।’