প্রতিবেদন : কন্যাশ্রীর পর কিশোরদের নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করল রাজ্য সরকার৷ শৈশব থেকে কৈশরে পা দেওয়া বয়সের সেই সন্ধিক্ষণে ছেলেদের শারীরিক ও মানসিক নানান পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যা সব সময় তারা প্রকাশ করতে পারে না৷ বয়ঃসন্ধিক্ষণের কিশোররা যাতে নিঃসঙ্কোচে তাদের মনের কথা আদান-প্রদান করতে পারে, তার জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগে স্কুলে স্কুলে তৈরি হচ্ছে ‘বন্ধুমহল’৷
আরও পড়ুন-বিমানবন্দরে প্রতিবাদ-মিছিল
ছাত্রদের বয়ঃসন্ধিকালীন শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে রাজ্য সরকার স্কুলে স্কুলে এই ‘বন্ধুমহল’ নামের একটি নতুন কর্মসূচি চালু করছে। এই কর্মসূচির আওতায় স্কুলগুলিতে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে ক্লাব গঠন করা হবে। একজনকে ক্লাবের প্রধান এবং দ্বিতীয় জনকে উপপ্রধান করা হবে। তারাই ছোটদের বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করবে। এ-ছাড়া স্কুলের একজন শিক্ষক ক্লাবের সামগ্রিক বিষয় দেখভাল করবেন। ক্লাবের সদস্য এবং পড়ুয়াদের মানসিক ও শারীরিক বিভিন্ন অবস্থার দেখভাল করা হবে। পাশাপাশি নিয়মানুবর্তিতা, আচরণবিধি ইত্যাদি শেখানো হবে। ছাত্রদের বয়ঃসন্ধিকালীন নানান সমস্যা সমাধানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই পাইলট প্রকল্প হিসাবে পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ওই জেলার বিভিন্ন স্কুলে ‘বন্ধুমহল’ তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।