প্রতিবেদন : এক সময় বলা হত, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে সূর্য কখনও অস্ত যায় না। কিন্তু সেই পরিস্থিতি আর নেই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশরা অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। গত সপ্তাহে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে ফের এক ধাক্কা খেয়েছে ব্রিটেন। ইংল্যান্ডের রাজতন্ত্রের অধীনে থাকা একাধিক দেশে স্বাধীনতার দাবি ক্রমশই জোরালো হচ্ছে। স্কটল্যান্ডেও এবার জোরালো হচ্ছে স্বাধীনতার দাবি।
সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রানির মৃত্যুর পর থেকেই স্কটল্যান্ডে জোরাল হচ্ছে স্বাধীনতার দাবি। স্কটল্যান্ডের জনগণের একাংশ চাইছে, ইউনাইটেড কিংডম বা গ্রেট ব্রিটেন থেকে আলাদা হয়ে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে।
আরও পড়ুন-চিন নিয়ে খোঁচা স্বামীর
গত শনিবার রানিকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে স্কটল্যান্ডের বালমোরল প্রাসাদে গিয়েছিলেন আর্চি নিকোল নামে স্কটল্যান্ডের এক প্রবীণ শিক্ষিকা। নিকোল বলেছেন, ব্রিটেনকে একসুতোয় বেঁধে রেখেছিলেন রানি। স্কটল্যান্ডকে অত্যন্ত সম্মান করতেন তিনি। রাজপরিবারও স্কটিশ। তবে আমি মনে করি রানির মৃত্যুতে স্কটল্যান্ডের প্রজাতন্ত্র হওয়ার পথ সুগম হয়েছে। স্কটল্যান্ডের এক প্রথম সারির সংবাদপত্রে লেখা হয়েছে, রানির মৃত্যুকে এক যুগের অবসান হিসেবে দেখছেন স্কটদের অধিকাংশ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এবার তাঁরা নতুন দিশার সন্ধান করবেন। প্রজাতন্ত্র ঘোষণার দাবিতে গণভোটের দাবিও উঠতে পারে স্কটল্যান্ডে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোট হয়েছিল স্কটল্যান্ডে। সেবার জয় হয়েছিল রাজতন্ত্রের সমর্থকদের। রানির মৃত্যুতে এবার স্বাধীনতার দাবিতে ফের সরব হয়েছে জাতীয়তাবাদী স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি।
আরও পড়ুন-ভিড় এড়িয়ে এক ক্লিকে পৌঁছন প্রতিমার সামনে
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেলে লেখা হয়েছে, রানি না থাকায় এই জোট এখন অনেক বেশি সমস্যার সম্মুখীন। রানির মতো রাজা চার্লস স্কটল্যান্ডকে ভালবাসলেও বাস্তবে তাঁর তেমন কর্তৃত্ব নেই। ব্রিটেনের এক বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, স্কটল্যান্ডের ৪৫ শতাংশ মানুষ রাজতন্ত্রকে সমর্থন করছেন। প্রজাতন্ত্র চাইছেন ৩৬ শতাংশ। ইউনাইটেড কিংডম-এর অঙ্গরাজ্য হয়ে থাকতে চাইছেন ৫১ শতাংশ।