নয়াদিল্লি : জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) সোমবার পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, চণ্ডীগড় এবং দিল্লি-জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে ৬০টিরও বেশি জায়গায় অভিযান চালানোর পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কর্তাব্যক্তিদের উদ্বেগ আরও বেড়েছে। কারণ এই ব্যাপক তল্লাশি অভিযানে অস্ত্রশস্ত্র বা অন্যান্য বেআইনি সামগ্রী বিশেষ পাওয়া না গেলেও গ্যাংস্টার ও সন্ত্রাসবাদীদের যোগাযোগ সম্পর্কিত অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। এনআইএ পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় এই জঙ্গিযোগের বিষয়ে দুটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে।
আরও পড়ুন-মুক্তি পাচ্ছেন না কাপ্পান
এনআইএর এক সূত্র জানিয়েছে, তল্লাশি অভিযানে পাওয়া নথি থেকে এটা নিশ্চিত যে পাকিস্তানের আইএসআই পাঞ্জাবে সন্ত্রাসবাদ পুনরুজ্জীবিত করার জন্য গ্যাংস্টার ও জঙ্গিদের জোটকে কাজে লাগাচ্ছে। শুধু তাই নয়, আসন্ন উৎসবের দিনগুলিতে সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর জন্য স্থানীয় গ্যাংস্টারদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনার আভাসও পাওয়া গেছে। সূত্র জানিয়েছে যে, পাতিয়ালা জেল ভাঙার ঘটনা এবং মোহালিতে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদর দফতরে রকেট হামলার পরে গত আট মাস ধরে এনআইএ, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো এবং পাঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দারা গ্যাংস্টার-জঙ্গি সম্পর্ক ভাঙতে কাজ করছিল।
আরও পড়ুন-সেকেন্দ্রাবাদে পুড়ে ছাই গাড়ির শোরুম, মৃত ৮
সোমবারের তল্লাশি অভিযান সেই পদক্ষেপেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে সরকারি সূত্রে খবর। স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে এনআইএ-র যৌথ অভিযানে হরিয়ানার যমুনানগরে গ্যাংস্টার বীরেন্দ্র প্রতাপ সিং ওরফে কালা রানার বাড়ি থেকে ছ’টি অবৈধ অস্ত্র, ৯০টি জীবন্ত কার্তুজ এবং ১০টি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করা হয়েছে। সিধু মুসেওয়ালা হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী গোল্ডি ব্রারের মুক্তসারের(পাঞ্জাব) বাড়িতেও প্রায় তিন ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয়। এনআইএ কানাডাবাসী এই গ্যাংস্টারের বাড়ি থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন-বিজেপি-সিপিএম সম্পর্কের অভিযোগ তুলল কংগ্রেস
এছাড়া গ্যাংস্টার গৌরব পাতিয়াল ওরফে লাকির বাড়ি, কারাগারে থাকা গ্যাংস্টার জগ্গু ভগবানপুরিয়ার বাটালা, গুরুদাসপুরের বাড়ি থেকেও গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছে। জেলে আটক গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দুতারনওয়ালী, আবহারের বাড়িতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে বহু নথি উদ্ধার করা হয়েছে। এনআইএ আধিকারিকরা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বাজেয়াপ্ত করেছেন।