প্রতিবেদন : কর্মসংস্থানে দেশের মধ্যে বাংলাকে আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে একনম্বরে নিয়ে যাবই। এটা আমার তপস্যা, প্রতিজ্ঞা, শপথ। বৃহস্পতিবার খড়গপুরে ‘উৎকর্ষ বাংলা’র অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে চাকরির শংসাপত্র তুলে দেওয়ার পর জোরালো গলায় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাকরির পাশাপাশি এদিন স্বনিযুক্তির ওপরও জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। তা নিয়ে একাধিক পরিকল্পনার পাশাপাশি নতুন ভাবনার কথাও বলেন তিনি।
আরও পড়ুন-বিশ্বভারতীর ছায়া শিবপুরে
এ প্রসঙ্গে তিনি কচুরিপানা, কাশফুলের কথা উল্লেখ করেন। কাশফুল দিয়ে নয়া ব্যবসা শুরুর ভাবনা আগেও জানিয়েছিলেন তিনি। এদিন সেই বিষয়ের ওপর ফের জোর দেন তিনি। এর সঙ্গে রাজ্যে কচুরিপানা নিয়েও নানা সম্ভাবনার কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, কচুরিপানা শুকিয়ে সুন্দর ব্যাগ ও থালা তৈরি হচ্ছে। এসব আগে ভাবাই যেত না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, আজ গ্রামে গ্রামে অনেক কিছু হতে পারে। আমার মামার বাড়ি গ্রামে। সেখানে যখন যেতাম দেখতাম পাঁকের মধ্যে থাকা ওই কচুরিপানা দিয়ে মাদুরও তৈরি হচ্ছে। কচুরিপানা সুন্দরভাবে শুকিয়ে তা দিয়ে ব্যাগ তৈরি করছে, খাবারের থালা তৈরি করছে। আগে শালপাতার থালাতে খাবার দিত। এখন এই নতুন থালাতে খাবার দিচ্ছে। এসব আগে কেউ ভাবতে পারত? কচুরিপানা দিয়ে যে এত ভাল কাজ হতে পারে ভাবা যায় না।
আরও পড়ুন-সুপ্রিমে সোনালি
এরপরই তিনি কাশফুলের কথাও উল্লেখ করেন। বলেন, দুর্গাপুজোয় ফোটা কাশফুলগুলোকে এককাট্টা করে, তুলো মিশিয়ে হালকা লেপ, বালিশও তৈরি হতে পারে। এর আগে হাওড়ার এক বৈঠক থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাশফুল দিয়ে বালিশ, বালাপোশ তৈরির কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, কাশফুলকে টেকনিক্যালি, কেমিক্যালি, কী দিতে হবে আমি জানি না, সেটা রিসার্চ করে দেখে বালিশ, বালাপোশ ওইগুলি তৈরি হতে পারে। যাঁদের আর্থিক ক্ষমতা আছে তাঁরা কিন্তু ওইগুলি কিনবেন।