যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে বেহাল আইনশৃঙ্খলা ও দলিত বিদ্বেষের ভয়ঙ্কর ছবি ফের বেআব্রু। লখিমপুর (Lakhimpur Rape Case) খেরি জেলার নিঘাসন এলাকায় দলিত পরিবারের ১৭ এবং ১৫ বছর বয়সি দুই নাবালিকা বোনকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও খুন করার অভিযোগ উঠল। একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দুই বোনের দেহ পাওয়া গিয়েছে। ঠিক এই পরিস্থিতিতে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা অলোক ভাট। বললেন, “মহিলারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে বেড়ানোর পরিকল্পনা করে আর ধর্ষিত হয়।” তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
টুইট করে তৃণমূল কংগ্রেস বলেছে, “লখিমপুরে দুই দলিত নাবালিকাকে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও হত্যা দেশবাসীকে হতবাক করেছে। বিজেপির মুখপাত্র অলোক ভাট-এর মতে “মহিলারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে বেড়ানোর পরিকল্পনা করে আর ধর্ষিত হয়!” এতো অসুস্থ মানসিকতার পরিচয়।” তৃণমূল কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে, এই মন্তব্যের পরেও কি বিজেপি চুপ থাকবে?
পুলিশ জানিয়েছে, লখিমপুরে ধর্ষণ (Lakhimpur Rape Case) এবং খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত মিটলেও মৃতদের পরিবার দেহ সৎকার করতে অস্বীকার করে। পরিবারের দাবি, ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। দুই নাবালিকার ভাইকে সরকারি চাকরি দিতে হবে এবং অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে।
আরও পড়ুন: আবার শীর্ষে বাংলা, শিক্ষাঙ্গনেও অগ্রগতি অপ্রতিরোধ্য
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা প্রথমে দুই নাবালিকার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। পরে তারা ধর্ষণ করে খুন করে। এমনকী, তারা প্রমাণ মুছে ফেলারও চেষ্টা করে। অভিযুক্তরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, দুই বোনকে প্রলোভন দেখিয়ে মাঠে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জীব সুমন আরও বলেন, মেয়ে দু’জনকে একটি আখের খেতে নিয়ে গিয়ে সুহেল, জুনায়েদ ও হাফিজুল রহমান ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর ওই তিন যুবক নাবালিকাদের দোপাট্টা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে। সে সময় ঘটনাস্থলে আসে করিমুদ্দিন ও আরিফ নামে আরও দুই যুবক। এবং প্রমাণ লোপাট করতে তারা মৃতদেহ দুটি গাছ থেকে ঝুলিয়ে দিয়েছিল।