সংবাদদাতা, বাঁকুড়া : বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। তাকে ঘিরে বাঙালির আবেগ আর ঐতিহ্য জড়িয়ে। একই সঙ্গে অর্থনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই উৎসব। জাত-ধর্ম-নির্বিশেষে সবাই এতে অংশ নেয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই উৎসবের অন্যতম উৎসাহদাতা, পৃষ্ঠপোষক। উৎসবকে সুন্দরতর করে তুলতে পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়া শুরু করেন। এ বছর জনস্বার্থ মামলা করে এই অনুদান দেওয়া বন্ধ করার চেষ্টা হয়েছিল।
আরও পড়ুন-তৈরি মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প, বাংলার নতুন সফর-পালক, অচিরেই খুলছে সবুজদ্বীপ
উচ্চ আদালত তা খারিজ করে দিয়েছে। রাজ্য সরকার প্রতিটি পুজো কমিটিকে এ বছর ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬০ হাজার টাকা দিচ্ছে। শহর কলকাতা ছাড়াও জেলায় জেলায় দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে রাজ্য সরকারি সাহায্য-চেক বিলির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়া রবীন্দ্রভবনে জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এবং জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে ৭৪০টি পুজো কমিটির হাতে চেক দেওয়ার কাজ শুরু হল। পুলিশের পক্ষে জানানো হয়, পুজো নির্বিঘ্নে কাটানোর জন্য সাধারণ দর্শক ও পুজো কমিটিগুলির সহযোগিতা একান্তই প্রয়োজন।
আরও পড়ুন-স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠনে দেশের মধ্যে শীর্ষে বাংলা, ট্যুইট মুখ্যমন্ত্রীর
বিশেষত পুজো কমিটিগুলিকে পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। পুজো দেখতে আসা মানুষের জন্য প্রবেশপথ এবং বাহিরপথ যেন সঙ্কীর্ণ না হয়। বাজি নিয়ন্ত্রিতভাবে ফাটালেও, ডিজে বক্স বাজানো একেবারেই নিষিদ্ধ। এছাড়াও হাতি উপদ্রুত এলাকায় বন দফতরের সঙ্গে সাধারণ মানুষকে সহযোগিতার জন্য পুলিশ সর্বদাই পাশে থাকবে।