সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রামে (Jhargram- Durga Puja) প্রাচীন পটে আঁকা দেবীর আরাধনার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। রবিবার জিতাষ্টমীর দিন থেকেই শুরু হয়েছে জঙ্গলমহলে সাড়ে চারশো বছরের প্রাচীন পটদুর্গার পুজো। ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির পটদুর্গার নাম পটেশ্বরী। প্রাচীন প্রথা অনুযায়ী জিতাষ্ঠমীতে খোল-করতাল সহযোগে রাজবাড়ির সদস্য রুপোর ছাতা মাথায় করে প্রাচীন খড়্গ সাবিত্রী মন্দিরে আনেন। সাবিত্রী দেবী ঝাড়গ্রাম রাজের কুলদেবী। তাঁর পাশে একই চত্বরে পটেশ্বরীর মন্দির। প্রাচীন খড়্গ আনার সময় সঙ্গে থাকেন রাজপুরোহিত। তিনি আনেন কলাবৌ। এরপরই টানা চণ্ডীপাঠ আর যজ্ঞ সহযোগে শুরু হয় পুজো। নবমীর নিশিরাতে এখনও প্রথা মেনে হয় দিকপুজো। পুরানো ঝাড়গ্রামের সাবিত্রী মন্দিরচত্বরে রয়েছে রাজ পরিবারের স্থায়ী মণ্ডপ। সাবিত্রীপুজোও হয় দুর্গামন্ত্রে। পুরোহিত পার্থসারথি ঘোষাল বলেন, ‘রাজা সর্বেশ্বর সিং চৌহান সাড়ে চারশো বছর আগে রাজপুতানা থেকে এসে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। তিনিই স্বপ্নাদেশ পেয়ে সাবিত্রী দেবীর মন্দির স্থাপন করেন। পাশেই দুর্গামণ্ডপ (Jhargram- Durga Puja)। দেবীর পুরানো পটচিত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নতুন পটচিত্র করা হয়।’ সেকালের জাঁকজমক না থাকলেও সাধারণ দর্শনার্থীদের কাছে এ পুজোর গুরুত্বই আলাদা। প্রথা মেনে দশমীর দিন মন্দিরের পাশেই হয় স্থানীয় লোক উৎসব পাটাবিন্ধা। তীর নিক্ষেপের সে উৎসব ঘিরে উন্মাদনা থাকে।