প্রতিবেদন : ভবানীপুরের উপনির্বাচন ঘোষণা হতেই হঠাৎ করে কিছু মামলা নিয়ে তৎপরতা বেড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির। বিভিন্ন মামলার প্যাঁচে ফেলে শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের ঘনঘন সমন পাঠাচ্ছে CBI, ED. আর এই গোটা ঘটনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করছে তৃণমূল। খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত এই তৎপরতা নিয়ে সরব হলেন। বুধবার চেতলার অহীন্দ্র মঞ্চে নির্বাচনী কর্মিসভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপিকে একহাত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, “যেই নির্বাচন ঘোষনা হয়েছে এজেন্সি নাচতে শুরু করেছে
অভিষেক, পার্থদা নোটিশ পেল। সুব্রতদা, ববিকে হেনস্থা করছে। আমার উপর রাগের কারণে অভিষেককে হয়রান করা হচ্ছে। একদিন দীর্ঘ জেরার পর পরের দিন আবার ডাকছে। অভিষেকের বিরুদ্ধে বেআইনি কেস থাকলে প্রমাণ করো। এরা কংগ্রেস, শরদ পাওয়ারকেও এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়ে রেখেছে। বিরুদ্ধে বললেই সবার বাড়িতে সিবিআই পাঠিয়ে দেবে কলকাতার কেস কেন দিল্লিতে নিয়ে যাচ্ছে? তৃণমূলকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু পারবে না।”
আরও পড়ুন : “নন্দীগ্রামে আমি ষড়যন্ত্রের বলি, কে করেছে সেটাও জানি” : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
এরপরই নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ”নারদার আসল চোরের নাম নেই। অথচ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম আছে। আমাদের রাজ্যের কোন এজেন্সি ডাকলে সেখানে আসবে না, অভিযোগ থাকলে এফআইআর করা যাবে না, ভগবানের জ্যোষ্ঠ পুত্র নাকি? দুর্যধন-দুঃসাশনের থেকেও ভয়ঙ্কর এরা দেশটাকে এজেন্সি দেখিয়ে শেষ করে দিচ্ছে। গ্যাসের দাম বাড়ছে, বিজেপির দেখা নেই। ত্রিপুরায় একজনকেও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। খুনের রাজনীতি করছে।
একুশে বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই ভোটে তাঁকে জোর করে ষড়যন্ত্র করে হারানো হয় বলেও সুর চড়ান তৃণমূল নেত্রী। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মমতা বলেন, ”আমি একটা আসনে পরাজিত হয়েছি, কিন্তু আদালতে মামলা করেছি। নন্দীগ্রামে কাউকে ভোট করতে দেওয়া হয়নি। খালি ছাপ্পা ভোট হয়েছে। আমি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছি। ১ টি বুথে গিয়ে দেখিয়েওছিলাম। আমার কথা শোনা হয়নি। এদের ষড়যন্ত্রের জন্য আবার নির্বাচনে দাঁড়াতে হল। তবে আমি খুশি আবার ভবানীপুরে আসতে পারলাম। কৃতজ্ঞতা জানাই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে। খড়দা থেকে লড়াই করবে। শোভনদেবদা।”