“নন্দীগ্রামে আমি ষড়যন্ত্রের বলি, কে করেছে সেটাও জানি” : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Must read

প্রতিবেদন : চেতলা অহীন্দ্র মঞ্চে আজ, বুধবার ছিল ভবানীপুর উপনির্বাচনে তৃণমূলের কেন্দ্রীয় কর্মিসভা। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের কর্মীসভায় ছিলেন প্রধান বক্তা। হাজির ছিলেন দলের প্রায় সমস্ত শীর্ষ নেতারা। এদিনের কর্মিসভা থেকেই কার্যত প্রচারে নেমে পড়লেন তৃণমূল নেত্রী। আর প্রচারে নেমেই নন্দীগ্রাম  বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, নন্দীগ্রামে ছাপ্পা ভোট করেছে বিজেপি। সেখানে কাউকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। তৃণমূলকে হারানোর জন্য চক্রান ও নিখুঁত পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই পরিকল্পনার মাথা কে, সেটাও তিনি জানেন।ওখানে ভোট হয়নি, তাই তিনি ষড়যন্ত্রের বলি হয়েছেন।

আরও পড়ুন : সাত দু’গুণে চোদ্দোর নামে চার হাতে রইল জিডিপির পেনসিল

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ”নন্দীগ্রামে মেশিনের পর মেশিন ভাঙা। প্রত্যেকটা বুথ অফিসার থেকে শুরু করে আইসি, সবাইকে বদলে দেওয়া হয়েছে। যে বুথে ৫০০ ভোট, সেখানে ভোট পড়েছে হাজারের বেশি। খালি ছাপ্পা করা হয়েছে, কাউকে ভোট করতে দেওয়া হয়নি। আমি বাধ্য হয়ে একটা বুথে গিয়ে নিজে ২ ঘণ্টা বসে ছিলাম। সেদিন কেউ আমার কথা শোনেনি। আমাকে হারাতে প্ল্যানিং করা হয়েছিল, কে করেছে সেটাও আমি জানি। নির্বাচনে আমাকে আবার দাঁড়াতে হল ওদের ষড়যন্ত্রের জন্য।” কিছু কিছু জায়গায় ভিভিপ্যাট গোনা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

এদিন আক্ষেপের সুরে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “আমি নন্দীগ্রামে লড়াই করতে গিয়েছিলাম, সেটা অপরাধ নয়। আমাকে ওখানকার মানুষ আমাকে অনুরোধ করেছিল। আমারও নন্দীগ্রামের প্রতি একটা আলাদা আবেগ থাকে সবসময়। আমি ষড়যন্ত্রের বলি হয়েছি। তবে ভালই হয়েছে, আমি আবার ভবানীপুরে ফিরে আসতে পেরেছি। আমরা সবাইকে নিয়ে পরিবারের মতো চলি।”

আরও পড়ুন : জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের মিথ্যাচার ফাঁস তৃণমূলের

রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় একুশের নির্বাচনে এই ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির রুদ্রনীল ঘোষকে ২৮ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে ছিলেন। এরপর তিনি দলের নির্দেশে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। ভবানীপুর কেন্দ্রে ইস্তফা দেওয়া শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় খড়গদহ কেন্দ্র থেকে লড়বেন। এদিন কর্মীসভা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দফা ঘোষণা করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

Latest article