আগরতলা : ত্রিপুরায় বিজেপির গুন্ডাদের হাতে আক্রান্ত হল সংবাদমাধ্যম। এতদিন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছিল বিজেপির গুন্ডারা, এবার তাদের আক্রমণের নয়া লক্ষ্য সংবাদমাধ্যম। বুধবার দুটি সংবাদমাধ্যমের দফতরে বিজেপির পতাকা নিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বিজেপির কর্মীরা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় সংবাদমাধ্যমের গাড়ি। আক্রান্ত হন পিবি ২৪ ও প্রতিবাদী কলম নামে দুটি মিডিয়ার কর্মীরা। ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিন্দা জানিয়ে জরুরি ভিত্তিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। ত্রিপুরায় বিপ্লব দেব সরকার গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করছে বলে প্রতিবাদে সরব হন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুস্মিতা দেব, সুবল ভৌমিক-সহ বিশিষ্ট নেতৃত্বরা। এদিন ত্রিপুরায় সিপিএমের অফিসেও ভাঙচুর চালায় বিজেপির কর্মীরা। তারও প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, যে কোনও রাজনৈতিক দল করার অধিকার আছে প্রতিটি মানুষের। বিজেপি না করলেই যেভাবে হামলা হচ্ছে, তার তীব্র ধিক্কার জানাই।
আরও পড়ুন : ‘আমাকে আঘাত করতেই অভিষেককে হেনস্তা’, অহীন্দ্র মঞ্চের কর্মিসভায় আক্রমণাত্মক নেত্রী
এদিকে বুধবার তেলিয়ামুড়ার কর্মিসভায় ত্রিপুরায় তৃণমূলের দলীয় সংগঠনকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন বাংলার মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং সুস্মিতা দেব। এই দিনের বৈঠকে সুস্মিতা দেব বলেন, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেনাপতিত্বে আমরা ত্রিপুরাতে এসেছি একটি শক্তিশালী সংগঠন তৈরি করতে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ক্ষমতায় থাকাটা বড় বিষয় নয়, গত সাড়ে তিন বছরে বিজেপির যে অপশাসন এবং একের পর এক মিথ্যাচার ত্রিপুরার সাধারণ মানুষের জীবনকে ভয়াবহ বিপদের দিকে ঠেলে দিয়েছে, তা থেকে মানুষকে রক্ষা করতে হবে। বৈঠকে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ভোট কিংবা ক্ষমতা বড় বিষয় নয়, মূল লক্ষ্য হল সংগঠনকে শক্তিশালী করা। সংগঠন শক্তিশালী হলে ক্ষমতা এমনিতে চলে আসে। আমরা নিশ্চিত, সংগঠনকে শক্তিশালী করেই ২০২৩-এ আমরা ত্রিপুরাতে জয়ী হব।