সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : রাজ্য সরকার দাবিমতো আগেই সুপারিশ পাঠিয়ে দিলেও আজও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। এবার তফসিলি উপজাতির তালিকাভুক্ত করার দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করলেন টোটেমিক জনজাতি কুর্মি বা মাহাতরা। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তিনটি মুখ্য দাবিতে মঙ্গলবার থেকে পুরুলিয়ার কুস্তাউর ও পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলি স্টেশনে অনির্দিষ্ট কালের রেলপথ অবরোধ শুরু করেন তাঁরা। লক্ষাধিক জনতার অবস্থানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এলাকা।
আরও পড়ুন-খুশির অন্নপ্রাশন, আনন্দে মাতলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা
দক্ষিণ পূর্ব রেল বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, এর ফলে ১৩টি ট্রেন বাতিল, দুটি ট্রেনের যাত্রাপথ বদল এবং দুটি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। এই অবরোধ অবশ্য শান্তিপূর্ণ ছিল। কুর্মি জনজাতির সামাজিক সংগঠন আদিবাসী কুর্মি সমাজের মূল খুঁটি অজিতপ্রসাদ মাহাত জানান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী এবং ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের কুর্মিরা টোটেমিক জনজাতি। ১৯৩২ অবধি এই জনজাতি তফসিলি উপজাতি ছিল। কিন্তু তারপর অজ্ঞাত কারণে তাঁদের আদিবাসী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। সেই পরিচিতি পুনরুদ্ধারের জন্যই তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন। তিনি বলেন, সেই সঙ্গে কুর্মিদের ধর্ম ‘সারণা’ র ধর্মীয় কোড দেওয়া ও কুরমালি ভাষার স্বীকৃতির দাবিও রয়েছে তাঁদের। তিনি জানান, দাবি আদায় না হওয়া অবধি আন্দোলন চলবে।
আরও পড়ুন-সংশোধনাগারে একগুচ্ছ নয়া ব্যবস্থা
অবরোধের জেরে দক্ষিণ-পূর্ব রেল একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল করে। তালিকায় আছে টাটা-দানাপুর এক্সপ্রেস, আসানসোল-টাটা এক্সপ্রেস, হাতিয়া-খড়্গপুর এক্সপ্রেস, বড়কাকানা-আদ্রা স্পেশ্যাল, রাঁচি-আসানসোল স্পেশ্যাল, ঝাড়গ্রাম-ধানবাদ এক্সপ্রেস, টাটানগর-হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন। যাত্রাপথ বদল করা হয় হাওড়া-চক্রধরপুর ও ধানবাদ-টাটা এক্সপ্রেসের। রেল জানায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া অবধি ট্রেনগুলি এভাবেই চলবে।