সংবাদদাতা, হাওড়া : রাতের হাওড়ায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা। প্রাণ হারালেন মোটর ভেহিকেলস দফতরের এক আধিকারিক, এক সিভিক ভলান্টিয়ার সহ ৩ জন। বুধবার রাত আড়াইটে নাগাদ মুম্বই রোডের ওপর রানিহাটি মোড়ের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ জানায়, মৃতেরা হলেন এমভিআই আধিকারিক উজ্জ্বল জানা (৪৭), সিভিক ভলান্টিয়ার অরিন্দম বিশ্বাস (২৬) ও দুর্ঘটনাগ্রস্ত লরির চালক আক্তার আনসারি (৩৫)। এমভিআই আধিকারিক উজ্জ্বলের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলে ও সিভিক ভলান্টিয়ার অরিন্দমের বাড়ি উলুবেড়িয়ার কৈজুরিতে। মৃত লরি চালক বিহারের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন-গণধর্ষণের পর পোশাকও কেড়ে নিল অভিযুক্তরা, পাশবিক কাণ্ডের অভিযোগও নিতে চায়নি পুলিশ
এমভিআই আধিকারিক উজ্জ্বল জানা দফতরের অন্যান্য অফিসার ও পুলিশ কর্মীদের নিয়ে জাতীয় সড়কে গাড়ি চেকিং করছিলেন। রানিহাটি মোড়ের কাছে কলকাতাগামী লেনে একটি লরিকে দাঁড় করিয়ে তাঁরা সেই গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করছিলেন। তখনই পেছন দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি মালবোঝাই লরিকে হাত দেখিয়ে দাঁড় করাতে যান এমভিআই আধিকারিক উজ্জ্বল ও সিভিক ভলান্টিয়ার অরিন্দম। তখনই দ্রুত গতিতে আসা ওই লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁদের দু’জনকে পিষে দেয়। তারপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা লরিটিকে সজোরে ধাক্কা মারে। এমভিআই আধিকারিক ও সিভিক ভলান্টিয়ার দু’জনেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মারাত্মক জখম হন।
আরও পড়ুন-শিশুসুরক্ষা কমিশনের কাছে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা
গুরুতর আহত হন ঘাতক লরির চালকও। দুর্ঘটনার জেরে দুটি লরিই কার্যত দুমড়ে মুচড়ে যায়। ছুটে আসেন অন্যান্য পুলিশ কর্মী ও সেখানে ডিউটিরত এমভিআই আফিসাররা। দুর্ঘটনায় জখম তিনজনকেই প্রথমে গাববেড়িয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁদের হাওড়া জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে সেখানে ভোরে তিনজনেরই মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়া জেলা হাসপাতালে আসেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন-প্রথা মেনে শুরু ১৬ দিনের পুজো
জেলাশাসকের দফতরে গিয়ে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়। রাজ্য সরকারের তরফে তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। মৃতদের পরিবারবর্গকে সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস দেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানান, ‘‘দুর্ঘটনা কমাতে আমরা মাঝেমধ্যেই জাতীয় সড়কে বিশেষ তল্লাশি অভিযান চালাই। গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। এই জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হয়।”