প্রতিবেদন : নেহাতই নির্বাচনী ভাষণ নয়, যেমন কথা তেমন কাজ। একুশের নির্বাচনে বিপুল জনাদেশ নিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির প্রতিটি অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন মুখ্যমন্ত্রী।
২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নারী ক্ষমতায়ন ও মহিলাদের স্বনির্ভরতা জোগাতে একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী তো ছিলই, তার সঙ্গে এবার মহিলাদের জন্য ‘‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’’ প্রকল্প শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্প পাহাড় থেকে জঙ্গল, সাগর থেকে শহরে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তুমুল উন্মাদনা ও উৎসাহের সঙ্গে মহিলারা আবেদন করছেন। সবকিছুই হচ্ছে উৎসবের মেজাজে। তারই ফলস্বরূপ এক মাসেরও কম সময়ে এক কোটিরও বেশি মহিলা ‘‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’’ প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন পত্র জমা দিয়েছেন বাড়ির পাশে দুয়ারে সরকার শিবিরে।
আরও পড়ুন :“কন্যাশ্রীর সাহায্যে আমার গ্রামে আমি প্রথম কন্যাশ্রীর ২৫ হাজার টাকা পেয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছি”
জানা গিয়েছে, প্রকল্প শুরু হওয়ার মাত্র ২৫দিনের মধ্যে দুয়ারে সরকার শিবিরে এসেছেন প্রায় ৩ কোটিরও বেশি মানুষ। যেখানে শুধুমাত্র ‘’লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’’ প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ৬৫ হাজার ৭১টি শিবির থেকে আবেদন জমা পড়েছে ১ কোটি ১০ লক্ষের বেশি। প্রসঙ্গত, গত ১৬ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার শিবির। তার মাত্র ২৫ দিনেই এই বিপুল সংখ্যক আবেদন কার্যত নজিরবিহীন। প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের অনুমান, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রায় ২ কোটি মহিলা আবেদন জানাতে পারেন।
উল্লেখ্য, এই প্রকল্পে সাধারণ মহিলারা প্রতিমাসে পাবেন ৫০০ টাকা করে। এসসি, এসটি, মহিলারা পাবেন মাসে ১ হাজার টাকা করে।